আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালী) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাবেক মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের চাইতে তার স্ত্রী সাবেক বেলকুচি পৌর মেয়র আশানুর বিশ্বাসের নগদ অর্থের পরিমান বেশি।
নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের হলফনামা থেকে এতথ্য জানা গেছে। তবে গত বছরে জেলা পরিষদ নির্বাচনের সময় দাখিল করা হলফ নামায় আব্দুল লতিফ বিশ্বাস ও তার স্ত্রীর নামে নগদ টাকা আছে কি না সে তথ্য উল্লেখ করা হয়নি। মনোনয়ন পত্র দাখিলের তারিখে সম্পদের ধরন ক্রমিক নং ১ এ নগদ টাকার তথ্যের স্থানে কোন মন্তব্য দেখা হয়নি।
গত ৩০ নভেম্বর দাখিল করা হলফনামায় সম্পদের বিবরনীতে সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস উল্লেখ করেছেন, তার নিজ নামে নগদ টাকা রয়েছে ২০ লাখ (২০,০০,০০০)। আর স্ত্রী আশানুর বিশ্বাসের নামে জায়গায় উল্লেখ করেছেন তার নগদ টাকা রয়েছে ২০ লাখ ৪৫ হাজার ৫৪৬ টাকা (২০,৪৫,৫৪৬)।
আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের নামে ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমাকৃত অর্থ না থাকলেও তার স্ত্রীর নামে রয়েছে ৫ লাখ ৬০ হাজার ৯২০ টাকা (৫,৬০,৯২০)। এছাড়া তার স্ত্রীর নামে বন্ড, ঋনপত্র, ষ্টক একচেঞ্জ তালিকা ভুক্ত ও তালিকা ভুক্ত নয় কোম্পানী শেয়ার রয়েছে ২৭ লাখ টাকার (২৭,০০,০০০)।
পোস্টাল, সেভিংশ সার্টিফিকেট সহ বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয় পত্রে বা স্থায়ী আমানতে আশানুর বিশ্বাসের বিনিয়োগ রয়েছে ৬৩ লাখ ২৭ হাজার ৫০০ টাকা (৬৩,২৭,৫০০)। উপহার হিসেবে প্রাপ্ত ২০ তোলা স্বর্ণ। অন্যান্য ব্যবসার মূলধন রয়েছে ১৮ লাখ ৬৭ হাজার টাকা (১৮,৬৭,০০০)।
আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের স্ত্রী আশানুর বিশ্বাস বেলকুচি পৌরসভার সাবেক মেয়র ও বেলকুচি উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক।
আব্দুল লতিফ বিশ্বাস আওয়ামীলীগের মনোনয়ন চেয়ে বঞ্চিত হন। এর পর তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী নিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। আব্দুল লতিফ বিশ্বাস ২০০৮ সালে সরকারের মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। এর পর তিনি জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন।
ভোরের আকাশ/ সু