logo
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর, ২০২৩ ১৩:২৩
তিস্তা সেচ ক্যানেলের মাটি কেটে সাবাড়
বেপরোয়া ভূমিদস্যুরা
সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি

তিস্তা সেচ ক্যানেলের মাটি কেটে সাবাড়

তিস্তা সেচ ক্যানেলের মাটি কেটে নিয়েছে একটি চক্র

নীলফামারীর সৈয়দপুরে তিস্তা সেচ ক্যানেলের মাটি কেটে সাবাড় করছে একটি চক্র। উপজেলার খাতামধুপুর ইউনিয়নের পাকারমাথা এলাকায় প্রকাশ্যে চলছে এই হরিলুট। সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে একদিকে সংষ্কার করছে আর অন্যদিকে পুরো ক্যানেল বিলীন হচ্ছে দিনেদুপুরে। পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় প্রশাসনের উদাসীনতায় বেপরোয়া ভূমিদস্যুরা।

 


সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, ক্যানেলের মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে ভজো নামের এক ট্রাক্টর চালক। জিজ্ঞাসা করলে সে জানায় এলাকার জুয়েল ও কাল্টুর নির্দেশে এই মাটি কাটা হচ্ছে। সরকারি মাটি কাটা কি ঠিক হচ্ছে জানতে চাইলে সে বলে আগেও অনেকে নিয়েছে, আমিও কাটছি। তাতে কি হয়েছে? মেম্বার চেয়ারম্যান কিছু বলেনা। আপনার কি সমস্যা?

 


মাটি ক্রেতা নাউয়াপাড়ার আসাদ্দির মেয়ে শাহানাজ বলেন, ক্যানেলের মাটি নেয়া অন্যায় হলে এর আগেও তো অনেকে নিয়েছে। তাদেরকে আগে ধরেন। আর আমি মাটি কিনে নিচ্ছি। যারা বিক্রি করছে তাদের বলেন। তারা টাকার বিনিময়ে মাটি দিচ্ছে। কোথা থেকে কোন মাটি দিচ্ছে তা দেখার দরকার আমার নাই।

 


এসময় খবর পেয়ে জুয়েল ও কাল্টু এসে জানতে চায় সাংবাদিকের এখানে কি? ক্যানেলের মাটি কাটতেছি। কিছু করার থাকলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকজন করবে। অন্য কারো মাথা ঘামানোর প্রয়োজন নাই। ক্যানেল এখন কোন কাজে লাগছেনা। যখন সংষ্কার হবে তখন সরকার আপনে মাটির ব্যবস্থা করবে। আমরা এলাকার মাথা। আমাদের কাজে বাধা দেয়ার কেউ নাই।

 


এলাকার আশরাফ আলী ও জিকরুল হক জানান, আগে রাতের বেলা চুরি করে মাটি কাটলেও এখন দিনের বেলাতেই চলছে এই হরিলুট। কেউ কিছু বললে তার উপর সংঘবদ্ধভাবে চড়াও হয় মাটি বিক্রি চক্রের সদস্যরা। একই ক্যানেলের দক্ষিণ অংশ সংষ্কার কাজ চলছে। আর উত্তরের দিকে মাটি সাবাড় করা হচ্ছে। আমরা নিষেধ করায় হেনস্তার শিকার হয়েছি।

 


তারা আরো বলেন, মেম্বার চেয়ারম্যান ও উপজেলা প্রশাসন সহ পানি উন্নয়ন বোর্ডে জানালেও কেউ ভ্রুক্ষেপ করেনি। এজন্য চক্র আরও বেপরোয়া। ইটভাটাসহ বিভিন্ন স্থানে লাখ লাখ টাকার মাটি কেটে বিক্রি করে চক্রটি লাভবান হলেও ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে সরকার।

 


সৈয়দপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কার্যালয়ে গিয়ে দায়িত্বশীল কাউকে পাওয়া যায়নি। সংশ্লিষ্ট এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত এসও সহ নির্বাহী প্রকৌশলী মেহেদী হাসানের মুঠোফোনে বার বার কল দিয়েও তারা কেউ রিসিভ না করায় তাদের মন্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

 

ভোরের আকাশ/ সু