logo
আপডেট : ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৩ ১৪:৫৬
জমে উঠেছে গরম কাপড়ের বাজার
সাতকানিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

জমে উঠেছে গরম কাপড়ের বাজার

সাতকানিয়ার একটি শীতবস্ত্রের দোকান

রাতের শীতল আবহাওয়ায় গায়ে লেপ ও কম্বল মোড়াতে হচ্ছে চট্টগ্রামবাসীকে। পৌষ মাসের শুরুর দিকে থেকে চট্টগ্রামসহ সারা দেশে জেঁকে বসেছে শীত। শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চট্টগ্রাম জেলার সাতকানিয়া উপজেলার বিভিন্ন মার্কেট ও বাজারের ফুটপাতে শীতের গরম কাপড় কেনার জন্য প্রধান সড়কের ধারে ভিড় জমাচ্ছেন নিম্ন আয়ের মানুষজন।

 


পুরোনো ও নতুন সংমিশ্রণে জমে উঠেছে গরম পোশাকের বাজার। দোকানে গরম পোশাকের যেন কমতি নেই। শীতকে কেন্দ্র করে নানা রঙ আর ঢঙ এর পোশাক এসেছে বাজারে। শীত নিবারণের হাজারো পোশাকে বাজার এখন সরগরম। শীতের শুরুর দিকে এ সব শীতবস্ত্রের দাম তুলনামূলকভাবে কম রয়েছে। সে কারণে অনেক ক্রেতাই সাধ্যের মধ্যে শীতবস্ত্রের বাজারে ভিড়ও করছেন।

 

সাতকানিয়া উপজেলার শপিং মলগুলোতে বা রাস্তার পাশে ফুটপাতগুলোতে সারি সারি পোশাকের দোকানগুলোর এখন গরম পোশাকে ভরপুর। রয়েছে ফুলপ্যান্ট, ফুলহাতা গেঞ্জি, জ্যাকেট, মাফলার, হাতমোজা, পা মোজা, টুপি থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের ও দামের কম্বল। শহরের ফুটপাত থেকে শুরু করে বড় বড় শপিং মলগুলোতে দেখা যায় এসব পোশাক কিনতে সব ধরনের ক্রেতার ভিড়।

 


কেরানীহাট শপিং সেন্টারে ব্লু হোয়ালে রয়েছে বিভিন্ন দামের শীতের পোশাক। সেখানকার ব্যবস্থাপক শাহেদ বলেন, শীতের সবচেয়ে চাহিদাসম্পন্ন পোশাক হুডিতে রয়েছে বিশেষ ছাড়। এছাড়াও অন্যান্য শীতপোশাকের পরও রয়েছে বিভিন্ন মাত্রায় মূল্যছাড়। ডিসেম্বরের শুরু থেকেই তাদের শোরুমে শীতকালীন পোশাক আসা শুরু হয়েছে বলে জানান।

 


ফুটপাতে কাপড় বিক্রেতা নুর হোসেন বলেন, গত কয়েকদিনে হাড় কাপানো শীত পড়ায়, ক্রেতার সংখ্যা বেড়েছে। প্রতিদিন গড়ে বিশ থেকে ত্রিশ হাজার টাকার পোশাক বিক্রি হয়। আমরা চট্টগ্রাম শহরের জহুর মাকেট সহ বিভিন্ন মাকেট থেকে এ পোশাক গুলো গেইড আকারে সংগ্রহ করি। নানা ধরনের শীতবস্ত্রের পাশাপাশি শীতের আনুষঙ্গিক হিসেবে চাহিদা রয়েছে হাতমোজা, পা মোজাসহ বিভিন্ন ধরনের টুপির।

 


মো. রাকিব উদ্দিন এক ক্রেতা বলেন, ভাই-বোন আর নিজের জন্য শীতের কাপড় কিনলাম। কেরানীহাট শপিং সেন্টারে ব্লু হোয়ালে রয়েছে, শীতের নানা ধরনের পোশাক রয়েছে। ৩শ টাকা থেকে শুরু করে হাজার টাকা দামের পোশাকও পাওয়া যায় এখানে।

 


অন্যদিকে ফুটপাতের আরো কয়েকজন শীতবস্ত্র বিক্রেতা জানায়, সব বয়সী মানুষের পোশাক বিক্রয় হচ্ছে, এসব ফুটপাতগুলোতে। গার্মেন্টস আইটেমের চেয়ে পুরাতন শীতবস্ত্র বিক্রি করে বেশি লাভ হয়। ভাগ্যের ওপর নির্ভর করে আমাদের লাভ-লোকসান। কেননা আমরা এক একটি কাপড়ের গাইট কিনি ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকায়। সেই বিদেশি গাইটগুলো থেকে কখনো ভালো কাপড় বের হয় কখনো আবার খারাপ।

 


ফুটপাতে শীতের পোশাক কিনতে আসা ওয়াজিহা নামে এক মহিলা বলেন, শীত এলে কেনা কাটার ধুম বেড়ে যায়। প্রতিনিয়ত শীতের পোশাক ক্রয় করি, তারপরেও অনেক কিনতে ইচ্ছে করে।


ফুটপাত থেকে কারা সবচেয়ে বেশি কেনাকাটা করে, এমন প্রশ্নে এই বিক্রেতা বলেন, এখান থেকে সবাই জামাকাপড় কেনে। রিকশাচালক থেকে শুরু করে অনেক ভদ্রলোক এখান থেকে পোশাক কেনেন। কে ধনী আর কে গরিব, সেটা তো কারও গায়ে লেখা থাকে না। এভারেজ সবাই আসে। শপিং মলের তুলনায় কম দামে পেলে মানুষ তো কিনবেই।

 

ভোরের আকাশ/ সু