logo
আপডেট : ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩ ১৪:০৪
পুরোদমে শীত নেই কুমিল্লায়,লোকসান গুনতে হবে বস্ত্র ব্যবসায়ীদের
মশিউর রহমান সেলিম, লাকসাম (কুমিল্লা)

পুরোদমে শীত নেই কুমিল্লায়,লোকসান গুনতে হবে বস্ত্র ব্যবসায়ীদের

কুমিল্লার একটি শীতবস্ত্রের দোকান

কুমিল্লা দক্ষিনাঞ্চলের ৬টি উপজেলায় চলমান বছরে জলবায়ুর প্রভাবে শীত না পড়লে মোটা অংকের লোকসান গুনতে হবে এ অঞ্চলের শীত বস্ত্র ব্যবসায়ীদের। ওদের গুদামে পড়ে আছে লাখ লাখ টাকার দেশী-বিদেশী বিভিন্ন ব্রান্ডের শীতবস্ত্র । পুরোদমে শীত নামতে আর মাত্র দিন কয়েক বাকী।

 

শীতকে পূজি করে জেলা দক্ষিনাঞ্চলের লাকসাম, মনোহরগঞ্জ, লালমাই, বরুড়া, সদর দক্ষিণ ও নাঙ্গলকোট উপজেলায় বড় বড় বিপনী বিতান ও মার্কেট গুলোর ব্যবসায়ীরা শীতবস্ত্র তুলতে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন।

 


জানা যায়, গত কয়েক বছর ধরে শীত না পড়ায় ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এবার শীত বস্ত্র ব্যবসায়ীরা জ্যামিতিক হারে হিসেব কষে শীতবস্ত্র দোকানে তুলছেন। অবশ্য কোনো কোনো ব্যবসায়ী বলছেন ভিন্ন কথা। পুরনো মালের সাথে নতুন করে কিছু কিছু মাল মিশ্রন করে বেচা-কেনা চালাতে প্রস্তুত অনেকেই। আবার ইতিমধ্যে অনেক ব্যবসায়ী ব্যাংক ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন থেকে ঋন ও স্থানীয় ভাবে ধার-দেনা করে নতুন ডিজাইনের হরেক রকম শীত বস্ত্র দোকানে তুলতে শুরু করেছেন।

 


রাজনৈতিক অস্থিরতা সহ নানা কারণে এ অঞ্চলের গ্রামীন অর্থনীতি অনেকটা ঝুঁকিতে পড়েছে। ফলে ব্যবসা-বানিজ্যসহ সার্বিক ক্ষেত্রে স্থবিরতা বিরাজ করছে।

 


লাকসাম দৌলতগঞ্জ বাজারের বেশির ভাগ বস্ত্র ব্যবসায়ীরা জানান, চলতি বছর আশা করছি জলবায়ুর প্রভাব না থাকলে এবার শীতে আমরা ভাল ব্যবসা করতে পারবো। গত কয়েক বছর শীতের প্রকোপ তেমন না থাকায় এ অঞ্চলে প্রায় কয়েক কোটি টাকার শীত বস্ত্র অবিক্রিত রয়ে গেছে ব্যবসায়ীদের গুদামেই। তাই চলমান শীতের অবস্থা বুঝে নতুন মাল তুলছেন ব্যবসায়ীরা।

 


জেলা দক্ষিনাঞ্চলের ৬টি উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার ঘুরে জানা যায়, গত বছর পুরো শীত মৌসুম জুড়ে শীতের তীব্রতা ছিল না বললেই চলে। ফলে বস্ত্র ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগকৃত লাখ লাখ টাকার মাল আটকা পড়ে। এবার তারা নতুন মালের সাথে ওইসব মালগুলো বিক্রি করবেন। বিগত কয়েক বছর শীতের প্রকোপ না থাকায় লাখ লাখ টাকা লোকসান গুনতে হয়েছে ব্যবসায়ীদের। আবার কারো কারো ব্যবসায়ীক অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। এখনো গুদাম ভর্তি বহু টাকার শীতবস্ত্র পড়ে আছে। এবার ভালভাবে শীত না পড়লে গতবছরের ক্ষতি পুষিয়ে নেয়া সম্ভব হবে না।

 

হাট-বাজার গুলোতে পাইকারী ও খুচরা বাজারের একই চিত্র বিদ্যমান। শীতবন্ত্র ব্যবসায়ীরা এ নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় পড়েছে।

 

ভোরের আকাশ/ সু