জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যশোর-২ (চৌগাছা-ঝিকরগাছা) আসন সব সময় নৌকার নিরাপদ আসন। আসনটির আওয়ামী লীগ দলীয় সাবেক এমপি অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম এবং মোস্তফা ফারুক মোহাম্মদ মন্ত্রিসভায়ও স্থান পেয়েছেন। তবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসনটির সাবেক এমপি যশোর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম মনির ট্রাক মার্কা নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় পরিস্থিতি ভিন্ন বলে স্বতন্ত্র প্রার্থীর অনুসারী কর্মীদের দাবি।
তবে পিছিয়ে নেই নৌকা প্রতীকের অনুসারিরাও। বিভিন্ন বলয়ের উপেক্ষিত আওয়ামী লীগাররা সেখানে জড়ো হতে শুরু করায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা মার্কার বিজয়ে আশাবাদী আওয়ামীলীগ। তাদের দাবি সাবেক এমপি মনিরুল বিপুল ভোটে বিজয়ী হবেন।
নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষকদের ধারণা বিএনপি-জামায়াতের ভোটাররা বেশি সংখ্যক ভোট দিতে পারলে লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি।
এখানে নৌকার মনোনয়ন পেয়েছেন আওয়ামী লীগর উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সাবেক মন্ত্রী তোফায়েল আহমদের একমাত্র মেয়ে জামাই রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগের প্রধান ডা. তৌহিদুজ্জামান তুহিন। নির্বাচিত হলে হার্ট ফাউন্ডেশন ও নার্সিং ইনিস্টিটিউট করবো বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন নৌকা মার্কার প্রার্থী তৌহিদুজ্জামান। তার বিপক্ষে ট্রাক প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন এই আসনের ২০১৪-১৮ মেয়াদের এমপি যশোর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম মনির। তিনি ১৯৭০ সালের গণপরিষদ সদস্য মরহুম আবুল ইসলামের ছেলে।
দুই উপজেলার অধিকাংশ জনপ্রতিনিধি নৌকার প্রার্থীর পক্ষে থাকায় এবং নির্বাচনী ইতিহাসে কখনো স্বতন্ত্র প্রার্থীর বিজয়ী না হওয়ার কারনে নৌকার সমর্থকরা বিজয়ী হওয়ার বিষয়ে অনেকটাই নিরাপদ ভাবছেন।
এ বিষয়ে নৌকার প্রার্থী ডা. তৌহিদুজ্জামান তুহিন বলেন, এ অঞ্চলের ভোটাররা সব সময়ই নৌকার পক্ষে থেকেছেন। ৭ জানুয়ারি নির্বাচনেও তারা দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা মেনে নৌকা প্রতীককে বিজয়ী করবেন। নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত।
স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম মনির বলেন, সুষ্ঠ ভোট হলে ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে ট্রাক মার্ক বিপুল ভোটে বিজয়ী হবে। সার্বক্ষণিক রাজনীতিবীদ হিসেবে এ অঞ্চলের ভোটারদের পাশে থেকেছি।
ভোরের আকাশ/ সু