logo
আপডেট : ৬ জানুয়ারি, ২০২৪ ১৬:৫২
পুনরায় সিআইপি নির্বাচিত হলেন হাজী আব্দুল করিম
ইউএই প্রতিনিধি

পুনরায় সিআইপি নির্বাচিত হলেন
হাজী আব্দুল করিম

এনআরবি ব্যাংকের পরিচালক, বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল দুবাইয়ের কোষাধ্যক্ষ ও সিলেট বিভাগ উন্নয়ন পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি ইউএইর সভাপতি হাজী আব্দুল করিম পুনরায় সিআইপি নির্বাচিত হয়েছেন। ৩০ ডিসেম্বর ঢাকায় বৈদেশিক শ্রম ও প্রবাসিকল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমদ এমপি ২০২২ সালের জন্য ক্রম ধারায় তৃতীয় সিআইপি হওয়ায় তাঁর হাতে সম্মাননা স্মারক তোলে দেন। এর আগেও তিনি সিআইপি হবার গৌরব অর্জন করেন। এছাড়া প্রায় দশবারের মতো বাংলাদেশ ব্যাংক রেমিটেন্স এওয়ার্ড লাভ করেন তিনি।

 

বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, শিল্পপতি, দানবীর, সমাজ সেবক,শিক্ষানুরাগী,ধর্মপ্রাণ এক ব্যাক্তি আলহাজ্ব আব্দুল করিম (সি আই পি) যিনি মৌলভীবাজার নয় গোটা বাংলাদেশের গর্ব। আরব বিশ্বে ব্যবসা বাণিজ্যে বাংলাদেশের মুখ উজ্জলকারী তিনি। উনার মাধ্যমে আরব আমিরাতে কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে শতাধিক বাংলাদেশী মানুষের। আরব আমিরাতে গোল্ডেন ভিসা নিয়ে সম্মানের সহিত বসবাসকারী এই বাংলাদেশী দানবীর, ধার্মিক, সৎ ব্যবসায়ী আলহাজ্ব আব্দুল করিম ১৯৬০ সালের পহেলা ফ্রেরুয়ারী মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার ঐতিহ্যবাহী সুজানগর গ্রামে জন্মগ্রহন করেন। পিতা মরহুম মফিজ আলী সহজ সরল ধার্মিক এক মানুষ ছিলেন।

 

আলহাজ্ব আব্দুল করিম সাহেব নিজ মেধা ও পরিশ্রমের মাধ্যমে নিজেকে একজন সৎ ব্যাবসায়ী হিসেবে দেশে বিদেশে নিজেকে প্রতিষ্টিত করেন। উনাকে নিয়ে আরব আমিরাতে বাংলাদেশীরা গর্ব করেন। নিজ জন্ম এলাকা বড়লেখায় উনার অবদান অপরিসীম। মসজিদ,মাদরাসা,স্কুল, কলেজ,সমাজিক সংঘটনে উনার অবদান অনেক। বড়লেখা সহ মৌলভীবাজারের বিভিন্ন এলাকা এমনকি দেশ এবং দেশের বাহিরে উনার অর্থায়নে প্রচুর খেদমত হয়েছে। যা উনার মহৎ হৃদয় এবং দেশ ও জাতীর ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ ।

 

১৯৮২ সালে তিনি আরব আমিরাতে প্রবাসী হোন। নিজ এলাকার ঐতিহ্যবাহী আগর আতরেরে সুঘ্রাণ বিশ্ব বাসীর কাছে পৌছে দিতে শুরু করেন আগর আতরের ব্যবসা। অতি অল্প সময়েই তিনি আরব বিশ্বে সনামধন্য ব্যাবসায়ী হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেন।

 

“হাসান শাহীন আহমেদ পারফিউম” নামে উনার ব্যবসা বিশ্বের বহুদেশে সুনামের সাথে ব্যবসা করে যাচ্ছে। উনার কারখানায় শতাধিক শ্রমিক কাজ করেন। শুধু আগর আতর নয় তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাথে ব্যাবসা করেন।

 

উনার ১৩ টি এল সি লাইসেন্স রয়েছে। এসবের মাধ্যমে তিনি প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করে তুলছেন। এসবের ফলশ্রুতিতে তিনি ১০ বার সেরা রেমিট্যান্স এওয়ার্ড পেয়েছেন।

 

বাংলাদেশের প্রধান মন্ত্রী এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীদের উপস্হিতিতে উনার হাতে এই পুরুষ্কার তুলে দেয়া হয়।

 

ব্যবসায়ী পরিচয়ে তিনি আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বেশ পরিচিত।

 

ভোরের আকাশ/আসা