‘একতরফা’ ভোট বর্জনের ডাক সফল হয়েছে দাবি করে এতে সাড়া দেয়ায় ভোটারদের ‘স্যালুট’ জানিয়েছে আবদুল মঈন খান।
রোববার দুপুরে পর্যন্ত ভোটের প্রাপ্ত খবরাখবর জেনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গণমাধ্যমের কাছে এই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, বিশ্বের মানুষ দেখছে, দেশের মানুষ দেখছে, এই নির্বাচন বাংলাদেশের মানুষ বর্জন করেছে। আজকে আমি জনগনকে আমাদের পক্ষ থেকে শুধু বিএনপির পক্ষ থেকে নয়, এই যে, ৬২টি রাজনৈতিক দল আমরা যারা এই প্রহসনের নির্বাচনকে বর্জন করেছি তাদের সকলের পক্ষ থেকে আমি আজকে বাংলাদেশের মানুষকে স্যালুট জানাব একটি মাত্র কারণে যে, বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্রের প্রশ্নের কোনো দিন আপোষ করেনি, এবারও করবে না।”
ভোট বর্জনের আন্দোলন সফল হয়েছে কিনা প্রশ্ন করা হলে আবদুল মঈন খান বলেন, নিশ্চয়ই সফল হয়েছে। এখানে আমি স্পষ্ট করে দিতে চাই, এই আন্দোলন শুধু রাস্তায় দাঁড়িয়ে আওয়ামী লীগ যে লগিবৈঠার আন্দোলন করে সেই লগিবৈঠার আন্দোলন আমরা করি না। আমাদের অনেকেকে অভিযোগ করেছে যে, আপনারা এই শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে আওয়ামী লীগকে সরাতে পারবেন না। কারণ তারা এমন একটি রাজনৈতিক দল যে, তাদের যে কার্যপদ্ধতি, তাদের যে বিভিন্ন প্রক্রিয়া আজকে ১৫ বছরে বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে এক লক্ষ বানোয়াট গায়েবি মামলা দেয়া হয়েছে, ৫০ লক্ষ বিএনপির নেতা-কর্মীকে আসামী করা হয়েছে। আমি ছোট একটি প্রশ্ন করতে চাই, পৃথিবীতে ২‘শ টি দেশ আছে আপনারা কি দেখাতে পারবে যেখানে এরকম ঘটনা ঘটেছে।
গুলশানে নিজের বাসায় ভোটের পরিস্থিতির ওপর গণমাধ্যমকে এই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
পরবর্তি কর্মসূচি কি হবে জানাতে চাইলে আবদুল মঈন খান বলেন, ওয়াট ইজ নেক্সট। বাংলাদেশের মানুষ শুধু ওয়াট ইজ নেক্সট জানতে চায় না। বাংলাদেশের মানুষ একটি জিনিস চায় তারা কথা বলতে চায়, তারা ভোট দিতে চায়, তারা এদেশে গণতন্ত্র দেখতে চায়… এ্ই তিনটি উদ্দেশ্যে আমরা মানুষের পক্ষ হয়ে আন্দোলন করে যাচ্ছি। ইনশাল্লাহ আমরা এই তিনটি জিনিস এদেশের মানুষকে ফিরিয়ে এনে দেবো।
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাও সকলে কেন্দ্রে যায়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশে যেমন আওয়ামী লীগের সমর্থক আছে সেটা তো অস্বীকার করা যাবে না। আমি সেটা বলছি না। আওয়ামী লীগেরও এই দেশে সমর্থক আছে, বিএনপিরও সমর্থক আছে। বিএনপির সমর্থকদের আজকে ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না। তারা ভোটে নাই। আমরা প্রতিবাদ হিসেবে ভোট বর্জন করেছি। আওয়ামী লীগের কিছু লোক হয়ত ভোট কেন্দ্রে যেতে পারে কিন্তু ছবি দেখলে বুঝবেন যে, নগণ্য সংখ্যক কর্মী-সমর্থক গেছে। এটা কেনো? তারও কারণ আছে। আওয়ামী লীগের ভোটাররা জানে যে, আমার প্রার্থী তো পাস করে বিজয়ী হয়ে গিয়েছেন। আামি খালি খালি খামখা ভোট কেন্দ্রে গিয়ে আমরা টাইম কেনো নষ্ট করব? সেই কারণে আজকে ভোটকেন্দ্রে ভোটার শূণ্য অথবা নগণ্য দেখছে … আওয়ামী লীগের ভোটাররাও ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার কোনো পারপাস নেই।
ভোরের আকাশ/আসা