দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাগেরহাটের ৪টি আসনেই নৌকার প্রার্থীরা বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছে। এর মধ্যে বাগেরহাট-১ আসনে শেখ হেলাল উদ্দিন, বাগেরহাট-২ আসনে শেখ হেলাল উদ্দিনের ছেলে শেখ তন্ময়, বাগেরহাট-৩ আসনে আসনে বন-পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণায়য়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার ও বাগেরহাট- ৪ আসনে কেন্দ্রীয় ছাত্রীগের সাবেক সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ বিজয়ী হয়েছেন।
এর মধ্যে বাগেরহাট-১ (ফকিরহাট, মোল্লাহাট, চিতলমারী) আসনে ১শ ২৪টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ৫৯টি কেন্দ্রের ফলাফলে ১ লাখ ৩ হাজার ৪৫৬ ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন শেখ হেলাল উদ্দিন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. কামরুজ্জামান পেয়েছেন ২ হাজার ১৯১ ভোট।
বাগেরহাট-২ (বাগেরহাট সদর ও কচুয়া) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ তন্ময় ১ লাখ ৮২ হাজার ৩১৮ ভোট পেয়ে দ্বিতীয়বারের মত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্ধন্দ্বী জাতীয় পার্টির হাজরা শহীদুল ইসলাম পেয়েছেন ৪ হাজার ১৭৪ ভোট।
বাগেরহাট-৩ (রামপাল ও মোংলা) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাবিবুন নাহার ৮৫ হাজার ৪১৭ ভোট পেয়ে চতুর্থবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্ধন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইদ্রিস আলী ইজারাদার পেয়েছেন ৫৭ হাজার ৬৫২ ভোট।
বাগেরহাট-৪ (মোড়েলগঞ্জ ও শরণখোলা) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী কেন্দ্রীয় ছাত্রীগের সাবেক সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ ১ লাখ ৯৯ হাজার ৪৪৫ ভোট পেয়ে প্রথমবার সংসদ সদস্য নিবাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্ধন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী এমআর জামিল হোসাইন পেয়েছেন ৬ হাজার ১৯৮ ভোট। এর আগে রবিবার দুপুরে নিজ বাড়ীতে সংবাদ সম্মেলন করে জাল ভোট, কর্মী সমর্থকদের মারিপট, এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়াসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে বর্জনের ঘোষণা দেন জামিল হোসাইন।
এদিকে, রবিবার সকাল ৮টা থেকে বাগেরহাটের প্রায় প্রতিটি কেন্দ্রে নারী ভোটারদের উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে। পুরুষের পাশাপাশি নারী ভোটারদের ব্যাপক উপস্থিতি কারনে ভোট কেন্দ্রো গুলোতে উৎসবের আমেজ বয়ে যায়। উল্লেখ্য, বাগেরহাট জেলায় ৪টি সংসদীয় আসনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র মিলে মোট ২৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এর মধ্যে বাগেরহাট-১ আসনে ৬ জন, বাগেরহাট-২ আসনে ৬ জন, বাগেরহাট-৩ আসনে ৭ জন এবং বাগেরহাট-৪ আসনে ৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। চারটি আসনে মোট ভোট কেন্দ্র ছিলো ৪৮৮টি। মোট ভোটার ছিলো ১২ লাখ ৮১ হাজার ১৩৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ছিলো ৬ লাখ ৪৪ হাজার ৮৬ জন এবং নারী ভোটার ছিলো ৬ লাখ ৩৭ হাজার ৪০ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ছিলো ৮ জন।
ভোরের আকাশ/ সু