logo
আপডেট : ১০ জানুয়ারি, ২০২৪ ১৬:২৩
শরীরের রক্ত দিয়েও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ঋণ পরিশোধ সম্ভব নয়: আবদুল ওয়াদুদ পিন্টু
নোয়াখালী প্রতিনিধি

শরীরের রক্ত দিয়েও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ঋণ পরিশোধ সম্ভব নয়: আবদুল ওয়াদুদ পিন্টু

বক্তব্য রাখছেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াদুদ পিন্টু

আমাদের শরীরের রক্ত দিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ঋণ পরিশোধ করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেন, নোয়াখালী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াদুদ পিন্টু। বৃহত্তর নোয়াখালী জেলার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

 


বুধবার বেলা ১১টায় নোয়াখালী জেলা পরিষদ অডিটোরিয়াম তাদের এ সংবর্ধনায় দেয়া হয়।

 

নোয়াখালী জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী মাহাবুবুল আলমের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও নোয়াখালী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল ওয়াদুদ পিন্টু।

 


তিনি বলেন, আজকে আপনাদেরকে আমরা যে সংবর্ধনা দিতে পারছি এটা আমার জন্য অত্যন্ত একটি গৌরবের বিষয়। আপনাদের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কে নিয়ে আমি গর্ব বোধ করি। কারণ আজকে আমি চেয়ারম্যান হয়েছি এখানে আপনাদেরই বদৌলতে।

 

আপনারা দেশ এনে দিয়েছেন, বীরমুক্তিযোদ্ধারা জীবন বাজি রেখে স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। যদি স্বাধীনতা না আসতো তাহলে এখানে অন্য কারো রাজত্ব চলতো। দেশের শাসন ব্যবস্থা পাকিস্তানিদের কারো হাতে থাকার কথা ছিল। আপনারা জানেন ১০ জানুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। পাকিস্তানের বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেয়ে ১৯৭২ সালের এদিন তিনি সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে প্রত্যাবর্তন করেন। দীর্ঘ ৯ মাস কারাভোগের পর পাকিস্তানের কারাগারে থেকে ৮ জানুয়ারি মুক্তি লাভ করেন। পরে তিনি পাকিস্তান থেকে লন্ডন যান এবং দিল্লি হয়ে ঢাকা ফেরেন।

 

আপনারা যার ডাকে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন তারই স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আছে। আপনাদেরকে নিয়ে আজকের এই ছোট্ট অনুষ্ঠানে আপনাদেরকে কাছে পেয়ে আমি আবেগ আপ্লুত, উদ্বেলিত। আপনাদের জন্য আমাদের করার অনেক কিছুরই প্রয়োজনীয়তা আছে। কিন্তু আমাদের সীমিত সামর্থ্যের কারণে আমরা সেটি হয়তো করতে পারিনি। কিন্তু আপনাদের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা, ভালোবাসা, ভক্তি কোনটার কমতি নেই। আমি আপনাদের সকল মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধাভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। আপনারা যে ব্রত নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ করে দেশের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন আমাদের শরিরের রক্ত দিয়ে তার ঋণ পরিশোধ করতে পারবো না।

 


এসময় বক্তব্য দেন, বৃহত্তর নোয়াখালী মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের কমান্ডার মিজানুর রহমান, নোয়াখালী মুক্তিযোদ্ধা জেলা ইউনিটের সাবেক কমান্ডার ফজলুল হক বাদল, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার মোজাম্মেল হক মিলন, সদর থানা যুদ্ধকালীন দায়িত্বপ্রাপ্ত ডেপুটি কমান্ডার আবুল কাশেম ব্যাংক, বেগমগঞ্জ উপজেলা সাবেক কমান্ডার আবুল হোসেন বাঙালি, নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সভাপতি বখতিয়ার সিকদার, সাধারণ সম্পাদক আবু নাসের মঞ্জু।

 


এসময় বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম আজাদ চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইমরান মোহাম্মদ আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মমতাজুল করিম বাচ্চু, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম জিএস, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুর রহমানসহ শতাধিক বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ উপস্থিত ছিলেন।

 


পরে মধ্যাহ্ন ভোজসহ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে বৃহত্তর নোয়াখালী জেলার সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান সূচক গায়ের চাদর ও সম্মানী চেক প্রদান করেন পিন্টু।

 

ভোরের আকাশ/ সু