উত্তরের জনপদ নদ-নদী বেষ্টিত জেলা গাইবান্ধায় গত কয়েকদিনের হাড় কাপানো শীতের পাশাপাশি মাঝ রাতের টিপ টিপ বৃষ্টি ও বাতাস বেড়ে যাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। এতে বেড়ে গেছে গরম কাপড় কেনার হিড়িক। গাইবান্ধা জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকার ফুটপাতের দোকানগুলোতে জমজমাট হয়ে উঠেছে গরম কাপড়ের বেচা-কেনা।
মাঘের এই হাড় কাপানো শীতের তীব্রতা বাড়ায় ফুটপাতের দোকানগুলো থেকে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজন এসব কাপড় ক্রয় করছেন। নতুন কাপড়ের দাম একটু বেশি হওয়ায় পুরাতন কাপড়ের দোকানের দিকে ছুটছেন ক্রেতারা। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলছে তাদের বেচাকেনা। বিগত কয়েক বছরের তুলনায় এবার শীতের তীব্রতা কিছুটা কম ছিল। কিন্তু গত কয়েকদিন শীত বেড়ে যাওয়ায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে গ্রামাঞ্চলের ও চরাঞ্চলের মানুষের। বিশেষ করে বয়ষ্ক এবং ছোট বাচ্চাদের।
শীত যত বাড়ছে ততই শহরের বিভিন্ন এলাকায় অস্থায়ী ফুটপাতের দোকান গুলোতে শীতের পোশাক আমদানী ও বেচাকেনা চলছে।
সরেজমিনে মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারী) সকালে জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, পিকে বিশ্বাস রোডে, গাউনপট্টি, কাঁচারীবাজার, পার্ক রোড, স্টেশন রোড, নতুন বাজারের সামনে সহ বিভিন্ন অলি-গলিতে ফুটপাতের দোকানে বিক্রি হচ্ছে শীতবস্ত্র। বছরের অন্যান্য সময় তেমন কেনাবেচা না হলেও শীতের সময় এখানকার ব্যবসা বেশ জমজমাট থাকে।
কথা হয় গাইবান্ধা সদর উপজেলার বল্লমঝাড় এলাকার রিকশা চালক মহাতাব মিয়ার (২৫) সঙ্গে। তিনি বলেন, আমরা গরীব মানুষ, নামি-দামি মার্কেটের তুলনায় ফুটপাতে কমদামে ভালো শীতের কাপড় পাওয়া যায়। তাই শীতের সময়টায় পরিবারের সকলের জন্য এখান থেকেই শীতের কাপড় কেনা হয়ে থাকে।
গরম কাপড় ক্রয় করতে আসা খোলাহাটি ইউনিয়নের রথবাজার এলাকার আব্দুল হামিদ (৬৫) বলেন, রাস্তার পাশে ছাড়া আমাদের শীতের গরম পোশাক পরার সামর্থ্য নেই। তাই নাতনী সুমনা ও সুমি'র জন্য কম দামে শীতের গরম কাপড় কিনতে ফুটপাতে এসেছি। দুই নাতনির জ্যাকেট ৮০০ টাকা দিয়ে কিনলাম।
শহরের গাউনপট্টি এলাকা বিক্রেতা মোজাফ্ফর হোসেন ভোরের আকাশকে বলেন, আমি সাধারণত সোয়েটার, ব্লেজার, ট্রাউজার, জ্যাকেট, চাঁদর, কানটুপিসহ বিভিন্ন ধরনের গরম জামা কাপড় বিক্রি করি।
তিনি আরো জানান, গত কয়েকদিনের হাড় কাপানো তীব্র শীতে গরম কাপড়ের চাহিদা বেড়েছে। তাছাড়া বিক্রিও খুব ভালো। বলা যায় এবার শীতের শুরু থেকে ভালোই ব্যবসা হচ্ছে।
ফুটপাতের এসব দোকানিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় , ক্রেতারা প্রতিটি সোয়েটার পাচ্ছে ১০০ থেকে ৩০০ টাকায়। জ্যাকেট ১৫০ থেকে ৪০০ টাকায়। ফুলহাতা গেঞ্জি ৫০ থেকে ১২০ টাকায় ও ব্লেজার পাচ্ছে ১০০ থেকে ৪০০ টাকার মধ্যে।
ভোরের আকাশ/ সু