logo
আপডেট : ২০ জানুয়ারি, ২০২৪ ১৬:৩৫
মেহেরপুরের সূর্যমুখির সৌন্দর্যে মজেছে প্রকৃতি প্রেমিরা
ফজলুল হক, মেহেরপুর

মেহেরপুরের সূর্যমুখির সৌন্দর্যে মজেছে প্রকৃতি প্রেমিরা

মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপি বীজ উৎপাদন খামারে সূর্যমুখির বাগান দেখছেন দর্শনার্থীরা

সবুজ গাছে হলুদ সূর্যমুখি, দুধারে নারকেল গাছের সারি। মেঠো পথ আর সবুজ ঘাসে ছাওয়া কিনারা। হলুদ আর সবুজ মিলে প্রকৃতির দৃষ্টিনন্দন সৌন্দর্য উপভোগ করতে ছুটে আসছে হাজারো মানুষ। কেউ করছেন পিকনিক, কেউ তুলছেন ছবি, আবার কেউ দুচোখ মেলে উপভোগ করছেন অপার সৌন্দর্য।

 


বলছিলাম, মেহেরপুর শহর থেকে ৫ কিলোমিটার পূর্বদিকে মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা প্রধান সড়কের ধারে আমঝুপি বীজ উৎপাদন খামারের কথা। এই খামারে বিভিন্ন সবজীর বীজ উৎপাদনের জন্য ফসল চাষ করা হলেও সূর্যমুখির বেলায় সেটির ভিন্ন মাত্রা যোগ। জানুয়ারির শুরুতেই সূর্যমুখি ফুল ফুটলেই সেখানে ছুটে আসে হাজরো দর্শনার্থী।

 


বিএডিসির আওতাধীন আমঝুপি বীজ উৎপাদন খামারে চলতি মৌসুমে দুটি প্লটে ৭ একর জমিতে সূর্যমুখি চাষ করেছে কতৃপক্ষ। বীজ উৎপাদনের লক্ষে চাষ করা হলেও ফুলের সৌন্দর্যে প্রকৃতি প্রেমিদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে খামারটি। জেলা ও জেলার বাইরে থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ আসছে খামারে।

 


শনিবার সরকারি ছুটির দিন আমঝুপি বীজ উৎপাদন খামারে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন বয়সি মানুষেরা ভিড় জমিয়েছেন সেখানে। কেউ ছবি তোলায় ব্যস্ত, কেউ করছেন ভিডিও, পরিবার নিয়ে কেউ ঘুরে দেখছেন পুরো এলাকা।

 


টিটিসির অধ্যক্ষ আরিফ হোসেন তালুকদার ও তার শিক্ষকরা এসছেন তাদের পরিবার নিয়ে, কথা হলো তার সাথে, তিনি বলেন, এতো বড় সূর্যমুখির বাগান মেহেরপুর বা আশেপাশের কোন জেলায় নেই। ফুল ফুটেছে গাছে, এটা দেখতে বেশ ভালো লাগছে। আমরা পরিবার সাথে নিয়ে এসেছি, সাথে রান্না করার সরঞ্জামও এনেছি। আমরা দিনব্যাপী আমরা থাকবো।

 


চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের মোমিন, জিহান, তুহিন, রুনা, সীমাসহ ১৮ জন বন্ধু এসেছেন বেড়াতে। তারা জানান, ফেসবুকে দেখে এখানে আসার প্লান করেছিলাম। আমরা বন্ধুরা মিলে এসেছি। ফেসবুকে যা দেখেছি বাস্তবে তার চাইতেও অনেক সুন্দর।

 


দর্শনার্থীদের সমাগমের কারণে সেখানে অস্থায়ীভাবে গড়ে উঠেছে রেস্টুরেন্ট, আছে ফুসকা, চটপটি ও চায়ের দোকান। সেই সাথে আছে পেশাদার ফটোগ্রাফারও। আপনি চাইলে আপনার সুন্দর ছবি তুলে দিবে তারা।

 


খামারের পাহারাদার আমিরুল ইসলাম জানান, প্রতিদিন কয়েক হাজার লোকের সমগম হয় এই ফুল বাগান দেখতে। ৫ জন পাহারায় থেকেও হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। ফুল ফোটার শুরু থেকেই বিভিন্ন বয়সী নারী পুরুষের সমাগম হয়। বিভিন্ন বয়সী নারী পুরুষ এখানে আসেন এক চিলতে বিনোদনের জন্য। অনেক সময় ক্ষেতের ভিতরে ঢুকে সেলফি ও ছবি তোলার কারণে ক্ষেতের ক্ষতি হচ্ছে। তারপরও মানুষজন বিনোদনের জন্য এখানে আসায় কিছুটা সহ্য করতে হচ্ছে।

 


মেহেরপুর আমঝুপি বীজ উপৎপাদন খামারের উপ-সহকারী পরিচালক আবু তাহের সরদার জানান, সূর্যমূখীর এই বীজ শুধুমাত্র বাংলাদেশেই নয় বরং বিদেশেও এই বীজ রপ্তানি হয়। সূর্যমূখীর তেল ও বীজের চাহিদা পূরণের জন্য এই চাষের উদ্দ্যোগ নেয়া হয়েছে। বিনোদনের জায়গা কম থাকায় এই বাগানটিতে উপচে পড়া ভিড় হচ্ছে দর্শনার্থীদের। এখানে এসে অনেকেই উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন সূর্যমূখি চাষে।

 

ভোরের আকাশ/ সু