logo
আপডেট : ২১ জানুয়ারি, ২০২৪ ১৮:২৯
নির্বাচনোত্তর সহিংসতায় মোংলায় তিন শতাধিক আহত ও সহস্রাধিক মানুষ এলাকা ছাড়া
নিজস্ব প্রতিবেদক

নির্বাচনোত্তর সহিংসতায় মোংলায় তিন শতাধিক আহত ও সহস্রাধিক মানুষ এলাকা ছাড়া

সংবাদ সম্মেলনে বীর মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিস আলী

নির্বাচনোত্তর সহিংসতার কারণে মোংলায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর তিন শতাধিক কর্মী-সমর্থক আহত এবং সহস্রাধিক মানুষ এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বাগেরহাট-৩ (মোংলা-রামপাল) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিস আলী ইজারাদার।

 

তিনি দলীয় কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলা, মারধর, ভাংচুর ও লুটপাটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। একইসঙ্গে এলাকার সহিংস পরিস্থিতির অবসানে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

 


রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান তিনি।

 

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, মোংলা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. ইকবাল হোসেন, ভোজপাতিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মাহফুজুল হক টুকু, উজুলকুল ইউপি চেয়ারম্যান মুন্সি বোরহান উদ্দিন জেড, মিঠাখলী ইউপি চেয়ারম্যান উৎপল কুমার মন্ডল, বাঁশখালী ইউপি চেয়ারম্যান মুস্তাফিজুর রহমান সোহেল, সুন্দরবন ইউপি চেয়ারম্যান মো. ইকরাম ইজারাদার, রামপাল সদর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ নাছির উদ্দিন, বুড়িরডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান উদয় শংকর বিশ্বাস, গৌরমম্ভা ইউপি চেয়ারম্যান রাজিব সরদার, সাবেক ইউপি সদস্য জুলহাস ইজারাদার প্রমুখ।

 


সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, নির্বাচনী বিজয়ী হওয়ার পর থেকেই স্থানীয় সংসদ সদস্যের মদদপুষ্ট সন্ত্রাসীরা রক্তের খেলা শুরু করেছে। একের পর এক হামলা চালিয়ে কর্মী-সমর্থকদের রক্তাক্ত জখম করছেন, খুন করার হুমকি দিচ্ছে। যে কারণে অনেকেই এলাকা ছেড়ে অন্যাত্র পালিয়ে বেড়াচ্ছে। তিনি আরো বলেন, সর্বশেষ গত ১৭ ও ১৮ জানুয়ারি মোংলা উপজেলার সুন্দরবন ইউনিয়নের বুড়বুড়িয়া এলাকায় প্রায় ৭০ একরের একটি চিংড়ী ঘেরে হামলা চালিয়ে সকল মাছগুলো লুট করে নিয়েছে। পরে পুলিশ আসলে দুর্বৃত্তরা মাছ নিয়ে পালিয়ে যায়। কিন্তু সেখানকার লোকজন প্রাণের ভয়ে কিছু বলতে পারছে না। বরং বিভিন্ন স্থানে হামলাকারিরা মিথ্যা মামলা দিয়ে হামলার শিকার জনগণের হয়রানি করছে।

 


লিখিত বক্তব্যে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ইদ্রিস আলী, অবাধ, সুষ্ঠ ও নিরেপক্ষ নির্বাচনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় দেশের বিভিন্ন এলাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। মোংলা-রামপালের মানুষ আমাকে স্বতন্ত্র প্রার্থী মনোনয়ন দেয় এবং নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করি। আমার সঙ্গে যারা আছেন, তারা সকলেই মোংলা-রামপাল আওয়ামী লীগ পরিবারের সদস্য। আমার ৯ ভাইয়ের মধ্যে ৬ জনই বীর মুক্তিযোদ্ধা। কিন্তু নির্বাচনে অংশগ্রহণ আমার ও আমার কর্মী-সমর্থকদের জন্য কাল হয়ে দাড়িয়েছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকতে নির্বাচনের পর আমাদের উপর সীমাহীন নির্যাতন চালানো হচ্ছে।

 


সহিংসতা বন্ধে প্রশাসন অসহায় উল্লেখ করে বীর মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিস আলী বলেন, বিজয়ী সংসদ সদস্যের ছত্রছায়ায় মোংলা-রামপাল এলাকার ঘের দখল, চাঁদাবাজী, সন্ত্রাসী, জমি দখল, বন্দর চোরাকারবারী, লুটপাট, সুন্দরবনের বিষ দিয়ে মাছ ও কাকড়া শিকারসহ বনের সম্পদ ধ্বংস করছে। তাদের প্রশ্রয়ে দলের অভ্যন্তরে কতিপয় স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকার ও জামায়াত-বিএনপি সদস্য প্রবেশ করেছে। তাদের অত্যাচারে সাধারণ মানুষ অসহায় হয়ে পড়েছে। তাই এই পরিস্থিতির অবসানে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ জরুরি।

 

ভোরের আকাশ/ সু