সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার মোহনপুরে প্রায় ২৮ মাসেও মধু রিফাইনারী প্লান্টটি চালু হয়নি। প্লান্টের নির্মাণ করা পাকাভবন তালাবদ্ধ অবস্থায় পরে আছে। উত্তরাঞ্চলের মধ্যে প্রথম উল্লাপাড়ায় ইউজিডিপি ( উপজেলা পরিচালন ও উন্নয়ন প্রকল্প ) প্রকল্পে একটি মধু রিফাইনারীপ্লান্ট স্থাপনের উদ্যোগ নিয়ে কাজ শুরু করা হয়।

বিগত ২০২১- ২০২২ অর্থ বছরে উপজেলার লাহিড়ী মোহনপুর বাজারেএটি নির্মাণের উদ্যোগ নিয়ে বিগত ২০২১ সালের ৮ সেপ্টেম্বর সে সময়কার ইউএনও দেওয়ান মওদুদ আহমেদ এর লেআউট দেন। সে সময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান পান্না, মহিলাভাইস চেয়ারম্যান রিবলী ইসলাম কবিতা, মোহনপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, বড় পাঙ্গাসী ইউপিচেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর লিটন প্রমুখ।

উপজেলা পরিষদের বাস্তবায়নে মধু রিফাইনারী প্লান্টটি সরকার ও জাইকার অর্থায়নে নির্মাণ এবং ব্যয় বরাদ্দেরপরিমাণ ছিল প্রায় ২৯ লাখ ৬৯ হাজার ৮৪০ টাকা বলে জানা গেছে ।

মধু রিফাইনারী প্লান্টটি স্থাপনের মূল উদ্দেশ্যহলো সরিষা ফুল থেকে মধু সংগ্রহের মৌসুমে উল্লাপাড়া অঞ্চলের মৌখামারিদের উৎপাদিত মধু রিফাইন করে সংরক্ষণকরে রাখা এবং পরে তা বিক্রি করতে পারবেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, মধু রিফাইনারির জন্য নির্মাণ করা পাকা ঘরটি তালা দেওয়া রয়েছে।

আশা মৌখামার মালিক আ. রশিদ ভোরের আকাশকে বলেন, মধু রিফাইনারী প্লান্টটি চালু করা হলে উল্লাপাড়াসহ গোটা চলনবিল অঞ্চলেরমৌখামারিদের মধু রিফাইনারী সমস্যার সমাধান ও মধু সংরক্ষণ করতে পারবেন। মৌখামারিদের দীর্ঘদিনের ইচ্ছেরবাস্তবায়ন হবে।

জাইকার ইউজিডিপির ইডিএফ আ. ওয়ারেছ ভোরের আকাশকে বলেন, প্লান্টটির পাকা ঘর নির্মাণ অনেক আগেই হয়েছে। এরই মধ্যেমেশিনারিজ বসানোর উদ্যোগ নিয়ে দরপএ আহবান করা হয়েছে। এতে ব্যায় বরাদ্দের পরিমাণ প্রায় ১৪ লাখ টাকা ।আর প্রতিদিন প্রায় ২ মেট্রিক টন মধু রিফাইন করা যাবে।

উল্লাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুবর্ণা ইয়াসমিন সুমী ভোরের আকাশকে বলেন, রিফাইনারী প্লান্টটি চালু হলে উল্লাপাড়া অঞ্চলে সরিষার মৌসুমে মৌখামার সংখ্যা আরো বাড়বে।

উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান পান্না ভোরের আকাশকে বলেন, আগামী দুই থেকে আড়াই মাসের মধ্যে মোহনপুররিফাইনারী প্লান্টটি চালু করা হবে বলে আশা করছেন।

ভোরের আকাশ/ সু