কুড়িগ্রামের উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্য প্রবাহ। তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেয়ে মাঝারী থেকে মৃদুতে পরিণত হলেও কমেনি ঘন কুয়াশা আর কনকনে ঠান্ডার মাত্রা। রাতে বৃষ্টির ফোটার মত ঝড়ছে কুয়াশা। দিনের শেষভাগে কিছু সময়ের জন্য সূর্যের আলো দেখা পাওয়া গেলেও ঘন কুয়াশার কারণে উত্তাপ ছড়াতে পারছেনা।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ২ ডিগ্রী সেলসিয়াস। যা গতকাল ছিল ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস। তবে বেলা বারার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের দেখা মিলেছে এ অঞ্চলে।
এদিকে কনকনে ঠান্ডায় ছিন্নমুল ও নিম্ন আয়ের মানুষজন কষ্টে রয়েছেন। বিশেষ করে নদ-নদী তীরবর্তী চর ও দ্বীপচর এলাকায় এর বেশী প্রভাব পড়েছে। বন্ধ রাখা হয়েছে জেলার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠদান। শীত বস্ত্রের অভাবে ছিন্নমূল ও হতদরিদ্র মানুষগুলো খড়কুটো জ্বালিয়েও শীত নিবারনের চেষ্টা করছে।
রাজারহাট উপজেলার নাজিম খান ইউনিয়নের আব্দুল খালেক বলেন, ‘গত ২০ দিন থাকি ঠান্ডা, কমছেই না। আমরা যারা দিন করে দিন খাই, আমারগুলার সমস্যা হইছে। দুইদিন থাকি আবার রোদের দেখা পাওয়া যাচ্ছে, কিন্তু তাপ নাই।’
ওই এলাকার হাফিজুল ইসলাম নামের এক শ্রমিক বলেন, ‘সকালে যখন বোরো ধানের বীজতলায় কাজ করি তখন হাত পা বরফ হয়ে যায়। অনেকদিন থাকি ঠান্ডার এমন অবস্থা।’
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, জানুয়ারি মাস জুড়েই তাপমাত্রা এরকম থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এ মাসের ২৮ তারিখের পর তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে।
ভোরের আকাশ/ সু