দিনাজপুর ২ নং সুন্দরবন ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের আমইর গ্রামের পাশে ঘাগড়া খনন করা হয়। খনন শেষে ঘাগড়ার দুই ধারে খননকৃত মাটি রাখা হয়। যা এখনো টেন্ডার হয়নি।
বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফয়সাল রায়হান গোপন সূত্রে খবর পান কৌশলে ওই দুই ধারের মাটিগুলো সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অনুমতি না নিয়ে ট্রলি দিয়ে অবৈধভাবে মাটি উত্তোলন করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ঘটনাস্থলে সুন্দরবন ইউনিয়নের তহশিলদার প্রহলাত চন্দ্র রায়কে পাঠালে তিনি গিয়ে দেখেন দুটি ট্রলিতে করে অবৈধভাবে ঘাগরার খননকৃত মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে দুর্বৃত্তরা। ঘটনাস্থল থেকে দুটি ট্রলি আটক করা হয়।
ঘাগরার মাটি খননে অভিযুক্ত দুই ব্যক্তি উত্তর শিবপুর এলাকার মৃত জমসেদ আলীর পুত্র নুরুল আমিন ও আমইর গ্রামের মৃত শৈত্যেন এর পুত্র গণেশ রায়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (এসিলেন্ড) সাথী দাস অবৈধভাবে মাটি উত্তোলন করে নিয়ে যাওয়ার দায়ে ১৫ হাজার টাকা করে দুই দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তির নিকট ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাথী দাস বলেন, জমির মাটি কাটা, পুকুর ভরাট, সরকারি অনুমোদন ছাড়া করা যাবেনা। তিনি স্থানীয়দের উদ্দেশ্যে বলেন, আর কেউ যেন অবৈধভাবে ঘাগরার মাটি কেটে নিয়ে যেতে না পারে সে ব্যাপারে সজাগ থাকবেন। প্রয়োজনে আমাদেরকে জানাবেন। আমরা তাৎক্ষণিকভাবে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
সে সময় উপস্থিত ছিলেন, ২ নং সুন্দরবন ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড মেম্বার, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর স¤পাদক রাজেদুর রহমান (রাজু), সাংবাদিক ইউনিয়ন দিনাজপুরের সহ সাধারণ স¤পাদক আব্দুস সালাম, ইলেকট্রিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিক সহ এলাকাবাসী।
ভোরের আকাশ/ সু