সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মিয়ানমারে যে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তার আঁচ বাংলাদেশ সীমান্তে এসেও পড়ছে। এর ফলে বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকায় আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। এ বিষয়ে চীনের সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে। রোববার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে সমসাময়িক নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের, বাংলাদেশের সাথে নয় মিয়ানমারের আরাকানের অভ্যন্তরীণে যুদ্ধ চলছে; এটা সীমান্তে চলে এসেছে। এরফলে সীমান্তে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে। তিনি আরও বলেন, বর্তমানে মিয়ানমারে যে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তার আঁচ বাংলাদেশ সীমান্তে এসে পড়ছে। এর ফলে বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকায় আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। এ বিষয়ে চীনের সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে। আর এ বিষয়ে সহযোগিতার জন্য ইতিবাচক সাড়াও দিয়েছে তারা। আগে থেকেও বাংলাদেশে প্রায় ১৩ লাখ রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়ে আছে। এদেরকে ফিরিয়ে নেয়ার ব্যাপারে চীনের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।
এদিকে সকালে বিদ্রোহীদের আক্রমণে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে দেশটির সামরিক বাহিনীর ১৪ সদস্য তুমব্রু বিজিবি ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছেন। বান্দরবানের তুমব্রু বিজিবি ক্যাম্পে তাদের আশ্রয় নেয়ার বিষয়টি বিজিবির জনসংযোগ দফতর থেকে সময় সংবাদকে নিশ্চিত করা হয়েছে। বিজিবির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তুমব্রু এলাকার বিজিবি ক্যাম্পের সিও মো. সাইফুল ইসলাম চৌধুরী এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানাবেন।
এছাড়াও ভোরে মিয়ানমারে সীমান্তবর্তী ক্যাম্প দখলকে কেন্দ্র করে উভয়ের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি খবর পাওয়া গেছে। শনিবার বিকেল থেকে থেমে থেমে গোলাগুলি হচ্ছিল। গতকাল আবার ভোর থেকে লাগাতার গোলাগুলি, মার্টারশেল নিক্ষেপ ও রকেট লান্সার বিস্ফোরণের বিকট শব্দে কেপে উঠছে সীমান্তবর্তী নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম-তুমব্রুর বিস্তীর্ণ এলাকা। শুধু তাই নয় গুলির শিষা ও রকেট লঞ্চার উড়ে এসে পড়ছে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে। এরইমধ্যে তাদের ছোড়া গুলিতে এক বাংলাদেশি আহত হয়েছেন।
ভোরের আকাশ/মি