বরগুনা জেলা ওলামা দলের সভাপতি মাওলানা মো. শাহজালাল রুমীর বিরুদ্ধে এলাকাবাসী সংবাদ সম্মেলন করেছেন। মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় বরগুনা প্রেসক্লাবের হলরুমে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে এলাকাবাসীর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পুলিশ লাইন মাইঠা গ্রামের আ. লতিফের পুত্র মো. মহসিন।
লিখিত বক্তব্যে মো. মহসিন বলেন, বরগুনা জেলা ওলামা দলের সভাপতি মাওলানা মো. শাহজালাল রুমী একজন মাদ্রাসা শিক্ষক। তার নিকটতম আত্মীয় ও কাছের সহযোগীদের নিয়ে জমি দখল, মারামারি, ঝগড়া-ঝাটি সৃষ্টি করে মানুষকে জিম্মি করা তার কাজ। তার ভয়ে এলাকার লোকজন কথা বলতে পারে না। বিগত দিনে নিজেদের বংশের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি করে খুন, মারামারি করে আসছেন এবং একাধিক মামলা মোকদ্দমা হয়েছে। ইতিপূর্বে একই বংশের বজলুর রহমানকে বাড়ী থেকে উচ্ছেদ করে জমি দখল করে নেন তিনি।
মো. মহসিন আরো বলেন, রহিম, হাফেজ হারুন, রুহুল আমিন, মিজান, ইসমাইল, আ. জলিল এদের জমিতে তারা রাতের আঁধারে ঘর তোলেন। ৯০ বছর পূর্বের বসত ভিটা হতে উচ্ছেদের চেষ্টা প্রতিনিয়ত চালাচ্ছেন। তারা আমার সাথে উপস্থিত আছেন। এদের যন্ত্রণায় এলাকার লোকজন অতিষ্ঠ থাকে। গত বছরের জুন মাসের ৪ তারিখে ওই চক্র একটা পরিবারের সকল সদস্যকে মারধর করে লুটপাট করে স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেয়। প্রতিবেশীর বসত ঘরের সম্মুখে রশি টানিয়ে পথ বন্ধ করে দেয়। চিরতরে পঙ্গু করার হুমকি দেয়।
তিনি বলেন, তাদের চলাফেরার গতিবিধি লক্ষ্য করে খুব সাবধানে চলাফেরা করতে হচ্ছে। আমাদের অটোরিক্সার ব্যাটারী চুরি করে নিয়ে যায়। চুরির ঘটনা প্রকাশ পেলে তারা জোটবদ্ধ হয়ে আমার বসতঘরের সামনে এসে দা, লাঠি, রড দিয়া আমাকে সহ আমার স্ত্রী সন্তান, পিতা মাতা, বোনসহ সকলকে মারপিট করেন।
আমাদের মানসম্মান হানি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে রাসেল রুহান, আল মামুন, মাসুদ রানা, সাইফুল ইসলাম রেদওয়ান নামের কতিপয় ব্যক্তি অপপ্রচার চালায়। মানহানির অপচেষ্টাকারীদের বিরুদ্ধে আইসিটি ও তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলা দায়ের করতে বাধ্য হবো।
ভুক্তভোগী মহসিন বলেন, আমার মেয়ে ২০২৪ সালে এসএসসি পরীক্ষার্থী, বরগুনা পুলিশ লাইন হাই স্কুলের একজন শিক্ষার্থী। তাকে স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে বিভিন্ন অসামাজিক কথাবার্তা ও হুমকি দেয়। আতঙ্কে সে স্কুলে যেতে চায় না। তার সুষ্ঠু তদন্তসহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আইনী সহায়তা কামনা করি।
ভুক্তভোগীদের পক্ষে আরো বক্তব্য দেন আ. রহিম, হাফেজ হারুন, মো. রুহুল আমিন, মো. মিজান, মো. ইসমাইল, মোসাম্মৎ রেহানা বেগম, কোহিনুর বেগম, রিজিয়া আক্তার, মাকসুদা বেগম, আব্দুল লতিফ, সেতারা বেগম প্রমুখ।
ভোরের আকাশ/ সু