logo
আপডেট : ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ২০:০১
বাংলাদেশের নার্সিং সেক্টরকে বিশ্ব মানের করা হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশের নার্সিং সেক্টরকে বিশ্ব মানের করা হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

আজ ৭ ফেব্রুয়ারি দুপুরে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দপ্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন এর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডা হাই কমিশনার H.E Lilly Nicholls। স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব আজিজুর রহমান এসময় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সাথে উপস্থিত ছিলেন।

 

সাক্ষাৎকালে কানাডা হাই কমিশনার কানাডা সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক ও উচ্চতর মানের নার্স টিচার্স ট্রেনিং সেন্টার স্থাপন করা সহ স্বাস্থ্যখাত সংক্রান্ত নানা বিষয়ে আলোচনা করেন।

 

কানাডায় বেশি বয়স্ক মানুষের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে যাদের ভালো চিকিৎসার জন্য কানাডায় দক্ষ নার্স, চিকিৎসক ও টেকনোলজিস্ট দরকার। কানাডা হাই কমিশনার ভবিষ্যতে বাংলাদেশ থেকে প্রয়োজন সংখ্যক নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী নেওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেন। তবে, এই নার্স বা স্বাস্থ্যকর্মীদের আন্তর্জাতিক মানের দক্ষ হতে হবে। এর জন্য কানাডা সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে একটি উন্নত ও বিশ্ব মানের নার্স টিচার্স ট্রেনিং সেন্টার স্থাপন করার আগ্রহ প্রকাশ করেন মান্যবর কানাডা হাই কমিশনার লিলি নিকোলাস।


এ প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বাংলাদেশে পর্যাপ্ত সংখ্যক দক্ষ নার্স, চিকিৎসক রয়েছে বলে কানাডা হাইকমিশনারকে আশ্বস্ত করেন।

 

স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসময় কানাডা হাই কমিশনারের উদ্দেশে বলেন, "বাংলাদেশে এই মুহুর্তে ৯৫ হাজার শিক্ষিত নার্স আছে যারা বিশ্বের যেকোনো দেশের স্বাস্থ্যসেবায় ভুমিকা রাখতে পারবে। তবে, তাদেরকে আরো বেশি দক্ষ ও বিশ্বমানের করতে সঠিকভাবে প্রশিক্ষিত করতে হবে। এজন্য দক্ষ প্রশিক্ষকও দরকার হবে আমাদের। এক্ষেত্রে কানাডা সরকার বাংলাদেশে যে উন্নতমানের টিচার্স ট্রেনিং সেন্টার করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে তা প্রশংসনীয়। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকেও নার্সিং পেশাকে যুগোপযোগি করতে বেশ কিছু পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের উদ্যোগের পাশাপাশি কানাডা সরকারের সহায়তা পেলে বাংলাদেশের নার্সিং সেক্টরকে আন্তর্জাতিক মানের করা হবে।”

 

আলোচনায় কানাডা হাই কমিশনার বাংলাদেশে চিকিৎসা ব্যবস্থায় বিশেষ করে প্রাইভেট মেডিকেলে অধিক সংখ্যক সিজারিয়ান বেবি জন্ম নেয় বলে উল্লেখ করেন। একই সাথে তিনি বাল্য বিয়ে প্রতিরোধ করা, গ্রামের মেয়েদের স্যানিটারি ন্যাপকিন সহজলভ্য করা প্রসঙ্গেও কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে বর্তমানে ১৪ হাজারের বেশি কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাকে একেবারে প্রান্তিক পর্যায়ে পৌছে দিয়েছেন বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। একইসাথে, দেশের প্রায় ৪০০০ ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে গ্রামে থাকা মেয়েদেরকে বিনামূল্যে স্যানিটারি ন্যাপকিন প্রদান সহ গ্রামীণ মায়েদের জন্য ইন্সটিটিউশনাল ডেলিভারি সিস্টেম সুবিধা বৃদ্ধি করা হয়েছে। এসব স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোকে ২৪ ঘন্টা সার্ভিসের আওতায় নিয়ে আসতে কাজ করা হচ্ছে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

 

স্বাস্থ্যখাতে বাজেট মাত্র ১% এবং কানাডার স্বাস্থ্যখাতে বাজেট ১২%। বাংলাদেশ এত কম বাজেটে এত বিরাট সংখ্যক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে পারবে কি না এবং ভবিষ্যতে কানাডা সরকারের কোন ধরনের সহায়তা লাগবে কি না সে ব্যাপারে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে কানাডা হাই কমিশনার জানতে চাইলে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ বিষয়ে আরো কিছু পরিকল্পনা হাতে নিয়ে আরেকবার বৈঠকে বসবার আমন্ত্রণ জানান। কানাডা হাই কমিশনার ও বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী উভয়েই পরবর্তীতে আরো একবার সাক্ষাতের ব্যাপারে একমত পোষণ করেন।

 

আলোচনাকালে, কানাডা হাই কমিশনের হেড অব কো অপারেশন এন্ড কাউন্সিলর Mr. Joe Goodings এবং ভারপ্রাপ্ত রাজনৈতিক কাউন্সিলর Ms. Siobhan Kerr কানাডা হাই কমিশনারের সাথে উপস্থিত ছিলেন।

 

ভোরের আকাশ/ সু