বরগুনা আমতলী পৌর শহরের একটি কওমিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসার দুই শিক্ষার্থীকে ফজরের নামাজ আদায় করতে ডাকায় ক্ষুব্ধ হয়ে তারা শিক্ষক হাফেজ জামিল হোসেন রাফিকে (২৫) পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে। সোমবার ভোর রাতে এ ঘটনা ঘটেছে।
ছাত্র হাফেজ ইমাম হোসেন ও হাফেজ জিহাদ হোসেন শিক্ষক হাফেজ জামিল হোসেন রাফিকে (২৫) পিটিয়ে গুরুতর জখম করে তার পকেটে থাকা ৭ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেন ওই আহত শিক্ষক। অভিযুক্ত হাফেজ ইমাম হোসেন উপজেলার হলদিয়ার রাওঘা গ্রামের মো. মামুন মৃধার ছেলে। হাজেফ জিহাদ হোসেন পার্শবর্তী গলাচিপা উপজেলার আমখোলা এলাকার।
জানা যায়, পৌর শহরের সরকারী একে হাইস্কুল চৌরাস্তা সংলগ্ল আমতলী কওমিয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসায় সোমবার ভোর রাতে শিক্ষার্থীদের ফজরের নামাজ আদায় করতে ঘুম থেকে ডেকে উঠান মাদ্রাসার শিক্ষক রাফি। এতে ওই মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র হাফেজ ইমাম হোসেন ও হাফেজ জিহাদ হোসেন ক্ষুব্ধ হয়। পরে তারা শিক্ষককে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে এবং তার পকেটে থাকা ৭ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। এতে শিক্ষক রাফি গুরুত্বর আহত হলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসে। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. জায়েদ আলম ইরাম তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। ওই ঘটনার পরপরই ছাত্ররা মাদ্রাসা থেকে পালিয়েছে।
মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা ওমর ফারুক জিহাদী বলেন, ফজরের নামাজ আদায় করতে ডাকার কারনে শিক্ষক হাফেজ জামিল হোসেন রাফিকে অভিযুক্ত ওই দুই শিক্ষার্থী গাছের গুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে। ওই ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হবে।
আমতলী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু মুঠোফোনে বলেন, এখন পর্যন্ত মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষ কোন লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ভোরের আকাশ/মি