logo
আপডেট : ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ১৫:৫১
সাতকানিয়ায় পিঠা উৎসব উদযাপন
সাতকানিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

সাতকানিয়ায় পিঠা উৎসব উদযাপন

পিঠাঘর দিয়ে সাজানো হয়েছে সাতকানিয়া উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণ। জাতীয় পিঠা উৎসব উদযাপন পরিষদ প্রতি বছরের ন্যায় এবারও আয়োজন করেছে‘ পিঠা উৎসব ১৪৩০'।
 
 
মঙ্গলবার সকাল ১১ টায়  এ উৎসবের উদ্বোধন করেন, সংসদ সদস্য এম এ মোতালেব এমপি।
 
 
প্রতিটি স্টল সাজানো হয়েছিল দেশের ঐতিহ্যবাহী বাহারি ও সুস্বাদু পিঠায়। চিতোই, পাকানো, পাকোয়ান, পক্কন, পাটিসাপটা, কুশলি, ভাপা, ভাত পিঠা, কাটা পিঠা, নকশি, পুলি, দুধ পিঠা, লাউ পায়েস, ছিট পিঠা, লবঙ্গ পিঠা, গোকুল, রসপুলি পিঠাসহ প্রায় দুই শ' রকমের পিঠা রয়েছে পুরো মেলা প্রাঙ্গণে। পিঠামোদী দর্শকের সংখ্যাও নেহাত কম নয়।
 
 
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, ইউএনও মিল্টন বিশ্বাস। আরো উপস্থিত ছিলেন, সাতকানিয়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শিবলী নোমান। সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরাফাত সিদ্দিকী ও সাতকানিয়া থানার ওসি প্রিটন সরকার, ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান আনজুমানা আরা, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন হাসান চৌধুরী, পৌরসভা মেয়র জোবায়ের, বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা বৃন্দগণ।
 
 
 
এসময় বক্তারা বলেন, কোন বাঙালী আছে যে পিঠা খেতে পছন্দ না করে? শীত এলে তো বাংলার ঘরে ঘরে পিঠা বানানোর ধুম পড়ে যেত। বাংলার শীতকাল আর পিঠা যেন একসূত্রে গাঁথা। কৃষকের ঘরে হেমন্তে নতুন ধান ওঠার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় পিঠা তৈরির কাজ। চলতে থাকে তা শীতকালজুড়ে। শীতে খেজুরের রস পিঠাকে করে তোলে আরও রসালো ও সুস্বাদু। কিন্তু সব পিঠা তৈরিতে খেজুর রসের বা খেজুরের গুড়ের ব্যবহার করা হয় না।
 
 
বেশিরভাগ পিঠাই মিষ্টিপ্রধান, কিছু পিঠা ঝালজাতীয়। তবে যে পিঠাই তৈরি করা হোক না কেন, পিঠা তৈরির মূল উপকরণ চালের গুঁড়া। পিঠা বাঙালী জীবন ও সংস্কৃতির এক অপরিহার্য উপাদান।
 
 
ভোরের আকাশ/ সু