logo
আপডেট : ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ১৮:৩৫
স্কুল ভবন নিলামে টাকার ভাগ বাটোয়ারা
বদলগাছী (নওগাঁ) প্রতিনিধি

স্কুল ভবন নিলামে টাকার ভাগ বাটোয়ারা

ক্যাপশন: জিধিরপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়

নওগাঁর বদলগাছীতে ২ লাখ টাকার অধিক মূল্যের পুরাতন ২টি স্কুল ভবন ১ লাখ ৩০ হাজার টাকায় নিলামে বিক্রি করে টাকা ভাগ-বাটোয়ারা করার অভিযোগ উঠেছে নব-নির্বাচিত এমপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে।

 

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সন্ন্যাসতলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবন ও জিধিরপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবন অপসারণ করে নতুন ভবন নির্মাণের জন্য এই দুই স্কুলের পুরানো বিল্ডিং উন্মুক্ত ডাকের মাধ্যমে বিক্রির লক্ষে ১ লাখ ২৭ হাজার ৭৬১ টাকা সরকারী মূল্য নির্ধারণ করা হয়।

 

বুধবার বেলা ১১ টার সময় উপজেলা চত্বর প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের সামনে ৫ হাজার টাকা প্রত্যেক ডাককারীদের থেকে জমা নিয়ে উন্মুক্ত ডাক শুরু হয়। সেখানে সন্ন্যাসতলা স্কুলের ডাকে ১১২ জন ও জিধিরপুর স্কুলের ডাকে ১২৩ জন ডাককারী অংশগ্রহণ করেন।

 

ডাককারীরা জোটবদ্ধ হয়ে উন্মুক্ত ডাকে অংশগ্রহণ করে সন্ন্যাসতলা স্কুলের পুরাতন বিল্ডিং ১ লাখ ৩ হাজার ৫০০ টাকায় নয়ন নামের একজন ও জিধিরপুর স্কুলের পুরাতন বিল্ডিং ২৭ হাজার টাকায় অসিম চন্দ্র মন্ডল নামের একজন সহ দুইজনে মোট ১ লাখ ৩০ হাজার ৫০০ টাকা ডাক করে নেয়।

 

এর কিছু সময় পর ওই দুই ডাককারী নয়ন ও অসিম চন্দ্র জেলা পরিষদ ডাক বাংলোতে গিয়ে আবার ও উন্মুক্ত ডাক দিলে সেখানে উপজেলার সোহাসা গ্রামের উজ্জল নামের এক ব্যাক্তি জিধিরপুর স্কুলের বিল্ডিং ১ম ডাক ২৭ হাজার টাকার স্থলে পুনরায় ৬৫ হাজার ৫০০ টাকা ডেকে নেয়। যা প্রথম ডাকের দ্বিগুন। সন্ন্যাসতলা স্কুলের বিল্ডিং উপজেলার জগন্নাতপুর গ্রামের নয়ন হোসেন সুন্ন্যাশতলা স্কুলের ১ম ডাককারী ১ লাখ ৩ হাজার ৫০০ টাকার স্থলে আবারও সে ওই স্কুল ১ লাখ ৪২ হাজার টাকায় পুনরায় ডেকে নেয়। যা ১ম ডাক থেকে ৩৮ হাজার ৫ শত টাকা বেশি। একই দিনে একই বিল্ডিং দুইবার উন্মুক্ত ডাকের মাধ্যমে সরকার ৭৭ হাজার টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত। যা বদলগাছীবাসীকে হতাশ করেছে।

 

এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও পুরাতন স্কুল বিল্ডিং নিলাম কমিটির সদস্য সচিব অমিরুল ইসলাম বলেন, নিলাম কমিটি কর্তৃক দর নির্ধারণ করেছে। নির্ধারিত দরের বেশি উন্মুক্ত ডাকে বিক্রি হয়েছে। পরে নিলামে অংশগ্রহন কারীরা আবার উন্মুক্ত ডাক দিয়ে বেশি দরে বিক্রি করেছে কি না তা আমার জানা নেই।

 

উপজেলা নিলাম কমিটির সভাপতি ও ইউএনও দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী কমিশনার (ভূমি) আতিয়া খাতুন এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, উন্মুক্ত ডাকের সময় আমি ছিলাম না। সেখানে কি ঘটনা ঘটেছে আমি বিষয়টি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নিবো।

 

ভোরের আকাশ/মি