logo
আপডেট : ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ১০:৪৫
লাইসেন্স ও পরিবেশের ছাড়পত্র ছাড়াই ইটের ভাটা
পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি

লাইসেন্স ও পরিবেশের ছাড়পত্র ছাড়াই ইটের ভাটা

কাঠ পুড়িয়ে তৈরী হচ্ছে ইট

খুলনার পাইকগাছায় সরকারী নিয়মনীতি উপেক্ষা করে লাইসেন্স ও পরিবেশের ছাড়পত্র ছাড়াই যতেচ্ছা ইটভাটা স্থাপন করা হয়েছে। পুড়ানো হচ্ছে কাঠ, কৃষিজমি ও নদী থেকে কাটা হচ্ছে মাটি। কোন কোন মালিকের কথা ‘জরিমানার টাকা দিলে সবকিছুই বৈধ’।


সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার চাঁদখালী, গদাইপুর, রাড়ুলী ও হরিঢালীতে ১৫ টি ইটভাটা কৃষিজমিতে অবস্থিত। এসবের প্রায় সবগুলোই জনবসতি এলাকা, সরকারী প্রতিষ্ঠান, প্রধান সড়ক, গ্রাম ও বনাঞ্চলের ধারের কাছে গড়ে তোলা হয়েছে। নিষিদ্ধ জায়গা থেকে কাটা হচ্ছে মাটি। পুড়ানো হচ্ছে কাঠ ও বসানো হয়েছে করাত কল। অধিকাংশরই নেই পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ও লাইসেন্স। ধোঁয়ার কুন্ডুলিতে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।


নীতিমালা অনুযায়ী যে কোন প্রতিষ্ঠান থেকে ১ কিলোমিটার দূরত্বে ও বনাঞ্চল থেকে ২ কিলোমিটার দূরত্বে ভাটা স্থাপনের কথা থাকলেও অল্প দূরত্বে এসব স্থাপিত। প্রায় প্রত্যেকটি ইটের ভাটার পাশে সরকারী প্রতিষ্ঠান, স্কুল, কলেজ, হাট-বাজার ও ব্যস্ততম সড়ক অবস্থিত।


পাইগাছায় স্থাপিত ভাটাগুলো হলো, হরিঢালীর মাহবুবুর রহমান রজ্ঞুর যমুনা ব্রিকস ১ ও ২, গদাইপুর মুজিবুর রহমানের ফাইভ ষ্টার, ফতেমা রহমানের এফএফবি, চাঁদখালীর নাজমুল হুদা মিথুনের এসএমবি, মহিউদ্দিন খানের বিএকে, বাদশার খানে খান ব্রিকস, মুনছুর গাজীর এস এম ব্রিকস, আব্দুল হালিমের স্টার ব্রিকস, আব্দুল মান্নান গাজীর বিবিএম ব্রিক্স, আব্দুল জলিলের এডিবি ব্রিকস, শাহজাদা ইলিয়াসের এমএসবি ব্রিকস, সিরাজুল ইসলামের এসবিএম ব্রিকস, শফিকুল ইসলামের এমবিএম ব্রিকস, রাড়ুলী ইউনিয়নে মিনারুল ইসলাম ও ডালিম সরদারের ইটের ভাটা।


পরিবেশ অধিদপ্তর ও উপজেলা নির্বাহী আদালতের উদ্যোগে প্রতিবছর ভ্রাম্যমান আদালতে জরিমানা করা হলেও ভাটা মালিকরা জরিমানা দিয়ে যথারীতি ভাটায় ইট পুড়িয়ে আসছে।


ভাটার মালিক বিঞ্চুপুর মিথুন বলেন, জরিমানার টাকা দিলে সব বৈধ হয়ে যায়। এ কারণে সে টাকা আগে থেকেই রেডি করে ভাটার কাজ শুরু করেছি।


উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আল-আমিন বলেন, ইতোমধ্যে কয়েকটি ভাটা থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ২৩ লক্ষাধিক জরিমানার টাকা আদায় করা হয়েছে। মাটি কেটে বিক্রি করার অপরাধে চারজনকে কারাদন্ড দেয়া হয়েছে।


ভাটা মালিক মিঠু বলেন, তিন বছর যাবৎ পরিবেশের কোন ছাড়পত্র পাইনি, লাইসেন্স নেই, তবে সরকার আমাদের কাছ থেকে আয়কর ও ভ্যাট আদায় করছে। কয়েকবার ভাটা ভেঙে দেয়ার কথা স্বীকার করেছেন তিনি।

 

ভোরের আকাশ/ সু