পর্যাপ্ত জায়গা না থাকার পাশাপাশি ছুটির দিনে বন্ধ থাকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি। এ সিদ্ধান্তের পরিবর্তন চায় শিক্ষার্থীরা। ছুটির দিনেও লাইব্রেরি খোলা চায় তারা। সুষ্ঠু পরিবেশে পড়ার ধারাবাহিকতা চালিয়ে যাওয়ার জন্য শুক্রবার ও শনিবার লাইব্রেরি খোলা রাখার দাবি জানিয়েছেন তারা।
শিক্ষার্থীরা জানান পুরান ঢাকার মেসে অনেক শিক্ষার্থী একসঙ্গে থাকায় পড়াশোনার সুন্দর পরিবেশ থাকে না। অন্যদিকে, উন্মুক্ত পাঠাগারে জায়গার অপর্যাপ্ততায় শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রীয় পাঠাগারে পড়তে যান। শুক্রবার ও শনিবার ছুটির দিনে কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি বন্ধ থাকায় সে সুযোগ পান না তারা। এতে ব্যাঘাত ঘটছে তাদের পড়াশোনার ধারাবাহিকতায়।
এ বিষয়ে বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী আহসান বলেন, পড়াশোনার জন্য প্রয়োজন নিরিবিলি ও সুন্দর পরিবেশ। যা পুরান ঢাকার ঘিঞ্জি এলাকার মেসগুলোতে পাওয়া যায় না। তাই আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে পড়তে যাই। তবে ছুটির দিনগুলো লাইব্রেরি বন্ধ থাকায় আমাদের পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটছে। শুক্রবার ও শনিবার কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি খোলা থাকলে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় যেমন আগ্রহ বাড়বে তেমনি পড়াশোনার ধারাবাহিকতাও বজায় থাকবে।
সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী আবদুর রহমান বলেন, সপ্তাহের মধ্যে শুক্র ও শনিবার আমাদের ক্লাস ও টিউশন বন্ধ থাকে। অন্য দিনগুলোতে ছুটির দিনের মত ভালোভাবে পড়াশোনা করার পরিবেশ পাই না। উন্মুক্ত লাইব্রেরিতেও পর্যাপ্ত জায়গা পাওয়া যায় না। সেক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যদি ছুটির দিনেও লাইব্রেরি খোলা রাখে তাহলে আমাদের পড়াশোনার জন্য ভালো হয়।
ছুটির দিনে লাইব্রেরি খোলা রাখার বিষয়ে লাইব্রেরিয়ান মো. এনামুল হক বলেন, আমরা ছুটির দিনে লাইব্রেরি খোলা রাখা নিয়ে উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলবো। তবে লাইব্রেরিতে কোনো স্থায়ী কর্মচারী নেই। যাদের কাজ শিখিয়ে নেওয়া হয় তাদেরকে কিছুদিন পরেই অন্যত্র বদলি করা হয়। শুক্র-শনিবার লাইব্রেরি খোলা রাখতে হলে আমাদের অতিরিক্ত কর্মচারীর প্রয়োজন হবে। আমরা আমাদের কর্মচারী সংকটের চাহিদা জানিয়েছি। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে দ্রুতই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল বলেন, শিক্ষার্থীরা এ বিষয়ে আমাকে জানিয়েছে। এটা ট্রেজারার স্যার মার্ক করে রেখেছেন৷ উনি এটা নিয়ে উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিবেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেন, আমাকে এখনো এই বিষয়টি সম্পর্কে প্রশাসন থেকে আমাকে জানানো হয়নি৷ তোমার থেকেই এটা শুনলাম। আমি এখনই বিষয়টি দেখছি।
ভোরের আকাশ/মি