logo
আপডেট : ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ১৫:৪৪
গ্রামের প্রথম বিসিএস ক্যাডার মাহবুবুল আলম
নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

গ্রামের প্রথম বিসিএস ক্যাডার মাহবুবুল আলম

আমি গ্রামের ছেলে। গ্রামেই শৈশব ও কৈশোর কেটেছে। মা আমার প্রথম শিক্ষক। তিনিই নিজ হাতে আমাকে লিখতে ও পড়তে শেখান। বাবা, মা ও ভাইয়ের অনুপ্রেরণা ছিল বেশি। বাবা-মায়ের বিশ্বাস ছিল আমি পারবো। আমার মা বলতো কেউ না হলেও আমার ছেলে বিসিএস ক্যাডার হবে। আমার মায়ের চোখে আমিই সেরা। সম্প্রতি ৪৩তম বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারে সেধা তালিকায় ৯ম হয়ে সুপারিশপ্রাপ্ত মাহবুব আলম ভোরের আকাশকে এসব কথা বলেছেন।

 

তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের স্নাতক ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি ২০১৭ তে স্নাতক, ২০১৮ তে স্নাতকোত্তর শেষ করেন। তিনি বর্তমানে সুজাত আলী ডিগ্রি কলেজ সরিষাবাড়ি জামালপুর, প্রভাষক পদে কর্মরত আছেন। তিনি ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলার শেরপুর ইউনিয়নের পূর্ব রাজাবাড়ীয়া গ্রামের প্রথম বিসিএস ক্যাডার।

 

মাহবুবুল আলম প্রস্তুতির বিষয়ে ভোরের আকাশকে বলেন, প্রস্তুতির শুরুটা তেমন গোছানো ছিল না। কোথাও কোচিং করিনি। কোন বইগুলো পড়তে হবে, হলের বড় ভাইদের পরামর্শ নিতাম। ধীরে ধীরে বিষয়গুলো আয়ত্তে আসে। ৪১ তম বিসিএসে অংশ নেই। কিন্ত ভাইভা দিয়েও ক্যাডার আসেনি। রেজাল্ট না আসলেও মনোবল হারাতে দেইনি। নিজেকে বুঝিয়েছি আমি পারবো।

 

তিনি বলেন, ৪৩তম বিসিএস রেজাল্ট প্রকাশের পরে নিজের রেজাল্ট নিজেই দেখলাম। অনেকটা স্বপ্নের মতো মনে হচ্ছিলো। আমার সাফল্যের পিছনে বাবা-মা, বড় ভাই, শিক্ষক ও ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের অনেক অবদান রয়েছে। আমি কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে আমার কর্মজীবনকে আরও বৈচিত্রময় করতে চাই। আমার গ্রামের মানুষের প্রয়োজনে সবসময় পাশে থাকব।

 

ভোরের আকাশ/মি