রাজশাহীর পুঠিয়ার ঝলমলিয়ায় নাটোর জেলার কাফুরিয়া হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোচিং বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। কোচিং বাণিজ্যকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশিদের নানান সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। তারা বিভিন্ন সময় মৌখিকভাবে বাধা দিলেও তা কর্ণপাত না করেই প্রাইভেট ও কোচিং বাণিজ্য করে চলেছেন ওই প্রধান শিক্ষক।
জানা যায়, প্রতিদিন সেই শিক্ষক পৃথক গ্রুপে ১০ জনের গ্রুপ নিয়ে কোচিং চালিয়ে যাচ্ছেন।
সূত্র জানায়, নাটোর জেলার সদর উপজেলার কাফুরিয়া হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. হারুনর রশিদ। তিনি ইংরেজি বিষয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলার ঝলমালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের গেটের সামনে তার নিজ বাড়িতে প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে ৯ টা এবং বিকাল ৩ টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কয়েকটি গ্রুপে শিক্ষার্থীদের কোচিং ক্লাস চালিয়ে আসছেন।
স্থানীয় সালাম, সেলিম সহ অনেকে বলেন, এখানে স্কুল গেট এবং বসত বাড়ির এলাকায় প্রাইভেট ও কোচিং বাণিজ্য করায় বিভিন্ন মানুষের আগমন ঘটে। এতে আমাদের বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। তাই এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানাচ্ছি।
ঝলমলিয়া স্কুলের কয়েকজন শিক্ষক জানান, সকাল ও বিকেলের সময় স্কুল বন্ধ থাকে। কিন্তু তার প্রাইভেট ও কোচিং বাণিজ্যের কারণে বিভিন্ন মানুষের আগমন ঘটে। ইতিমধ্যে কিছু অপ্রতিকর ঘটনাও ঘটেছে।
অভিযুক্ত কাফুরিয়া হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. হারুনর রশিদ বলেন, আমি অবসর সময়ে প্রাইভেট পড়াই। আমাকে নিষেধ করার পর স্কুলের সামনে থেকে সরিয়ে অন্যত্র পড়াচ্ছি।
ঝলমলিয়া স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. সাজ্জাদ হোসেন বারকী বলেন, তিনি সকাল ৬ টা থেকে পড়ান। সে সময় স্কুলে কেউ থাকে না। এ নিয়ে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। আমি এবং ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নিষেধ করার পরও তার ইচ্ছেমতো প্রাইভেট পড়ানোর কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
পুঠিয়া জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বলেন, এ ব্যাপারে কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ভোরের আকাশ/ সু