খুলনায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে ধর্ষণের মামলায় রাফি ইসলাম নামের এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সাথে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক আব্দুস সালাম খান এ রায় ঘোষণা করেন। খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এডভোকেট ফরিদ আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বরাতে পিপি ফরিদ আহমেদ জানান, প্রেমজ সম্পর্কের সূত্র ধরে মামলার আসামি রাফি ইসলাম বিয়ের প্রলোভন দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে নগরীর সোনাডাঙ্গার আবাসিক হোটেলে নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে। এছাড়া ঢাকায় নিয়েও বিভিন্ন সময় হোটেলে অবস্থান করে তাকে ধর্ষণ করে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবার ছেলের পরিবারের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করলেও আসামি ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে বিয়ে করতে অস্বীকার করে। ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী ২০২৩ সালের ৮ জানুয়ারি খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালতের নির্দেশনায় একই বছরের ১১ জানুয়ারি সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশ ধর্ষণ মামলা নথিভুক্ত করে। পরে ২০২৩সালের ২৩ফেব্রুয়ারি সোনাডাঙ্গা থানার এসআই সোহেল রানা আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে।
এ মামলায় সাতজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। বুধবার আদালতে মামলার আসামি রাফি ইসলামকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, আদালতের এই রায়ে আমরা সন্তুষ্ট হয়েছি। ভবিষ্যতে আর কেউ যেন কোনো মেয়ের সর্বনাশ না করতে পারে সেজন্য এ রায় উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। উচ্চ আদালতেও এই রায় বহাল থাকবে বলে তিনি প্রত্যাশা করেন।
ভোরের আকাশ/ সু