logo
আপডেট : ২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ১১:৩৫
যত্রতত্র গড়ে উঠছে করাতকল, অধিকাংশের নেই ছাড়পত্র
রিফাতুন্নবী রিফাত, গাইবান্ধা

যত্রতত্র গড়ে উঠছে করাতকল, অধিকাংশের নেই ছাড়পত্র

গাইবান্ধার একটি করাতকল

গাইবান্ধায় দিন দিন ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠছে করাতকল। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে যত্রতত্র গড়ে উঠা এসব করাতকলে অবৈধভাবে কাটা গাছগুলো সহজেই বিক্রি করছে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী। এর ফলে ভারসাম্য হারাচ্ছে পরিবেশ। অন্যদিকে সরকার রাজস্ব আয় থেকে হচ্ছেন বঞ্চিত।


আঞ্চলিক এবং গ্রামীণ রাস্তার আশপাশে গড়ে উঠছে নতুন নতুন করাতকল। এসব করাতকলের বেশিরভাগ মালিকদের নেই পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র।


গাইবান্ধা বনবিভাগের তথ্য মতে, এ জেলায় মোট ১৮৯টি করাতকল আছে। তার মধ্যে অনুমোদন আছে মাত্র ৫৬টি করাতকলের। আর অনুমোদনহীন আছে ১৩৩টি করাতকল। এসব করাতকল মালিকদের বনবিভাগের অনুমতি থাকলেও হাতে গোনা কয়েকটি ছাড়া বেশিরভাগের নেই পরিবেশের ছাড়পত্র।


গাইবান্ধা সদরের কাটপট্টি, তুলসিঘাট, দাড়িয়াপুর, সাহারবাজার, বালুয়াবাজার, পুলবন্দি, হাট-লক্ষীপুর, কুপতলা, কাজলডোপ, বল্লমঝাড়সহ প্রতিটি করাতকলে প্রতিদিন শত শত গাছ ফারাই (কাঁটা) কাজে নিয়োজিত। শ্রমিকরা বৈধ কিংবা অবৈধ গাছ যাচাই-বাছাই না করে ক্রয়ের কথা স্বীকার করলেই ফারাই করে দিচ্ছেন ইচ্ছে মতো।


সর্বশেষ গত বছর ডিসেম্বর মাসে সাদুল্লাপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৩৮ হাজার টাকা মোট জরিমানা করা হয়।


এ ব্যাপারে গাইবান্ধা সামাজিক বনায়ন জোনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ.এইচ.এম শরিফুল ইসলাম মন্ডল ভোরের আকাশকে জানান, বিভিন্ন উপজেলায় আমরা ইউএনও বা এসিল্যান্ড মহাদয়সহ ভ্রাম্যমাণ অভিযান পরিলাচনা করছি। পর্যায় ক্রমে এমন অভিযান চলমান থাকবে।
তিনি আরো জানান, আমাদের জনবল সংখ্যা একেবারেই কম। অনেক উপজেলায় এক জন অফিসার আছে কোনো স্টাফ নেই। বা কোনো উপজেলায় অফিসারও নেই। কোনো উপজেলার আবার অফিসার থাকলেও একজনেই দুই-তিনটা দায়িত্ব পালন করছেন। এই জনবল সংকটের কারণেই মূলত কার্যক্রমগুলো ব্যাহত হচ্ছে।

 

ভোরের আকাশ/ সু