logo
আপডেট : ৭ মার্চ, ২০২৪ ১১:৫৭
২১ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ২ বছরে ভর্তি ৪০ জন
অধ্যক্ষ মুকতাদের আজাদ খান, চট্টগ্রাম

২১ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ২ বছরে ভর্তি ৪০ জন

কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র-সন্দ্বীপ

বাংলাদেশের রেমিট্যান্সের উল্লেখযোগ্য অংশ আসে সন্দ্বীপের প্রবাসীদের কাছ থেকে। এখানে গড়ে প্রতি ঘরে রয়েছে একজন প্রাবাসী। তারা প্রবাসে গিয়ে যেন দক্ষ জনশক্তি হিসেবে কাজ করতে পারে সেই চিন্তা থেকে সরকার সন্দ্বীপ উপজেলা সদরের কমপ্লেক্স পুকুরের উত্তর পাশে ২১ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করে ‘সন্দ্বীপ কারিগরী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র’।

 

বিদেশ গমনেচ্ছুকসহ বেকার যুবকদের স্বল্প মেয়াদী প্রশিক্ষণের সুযোগ রয়েছে এতে। ২০১৮ সালের নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে ২০২০ সালে কাজ শেষ হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিন ২০২২ সালের ২৮ জুলাই গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্র উদ্বোধন করেন।

 


বৈদেশিক শ্রম বাজারের চাহিদা অনুযায়ী দক্ষতা, উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, বিদেশে কর্মসংস্থানের জন্য দক্ষ জনশক্তি তৈরি করা, দক্ষ জনশক্তি সরবরাহের মাধ্যমে শিল্পখাতে উৎপাদন বৃদ্ধি, সারা দেশে কারিগরী প্রশিক্ষণের সুযোগ সৃষ্টি এবং কাজের ক্ষেত্র সম্প্রসারণ প্রভৃতি লক্ষ্য নিয়ে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো দেশের ৪০টি উপজেলায় ৪০টি কারিগরী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণ করে। ৪০টি উপজেলায় ৪০টি কারিগরী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও চট্টগ্রামে ১টি ইনষ্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজি স্থাপন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এসব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়।

 

জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো ১০টি ট্রেডে প্রতিবছর ৪০ হাজার ৯৬০ জন কর্মীকে প্রশিক্ষণ প্রদানের লক্ষে উপজেলা পর্যায়ে এসব কারিগরী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করেছে। দেড় একর জমিতে একাডেমিক ভবন, প্রশিক্ষণার্থীদের জন্য ডরমেটরি, শিক্ষক কোয়ার্টার, ছাত্র-ছাত্রীদের গাড়ি পার্কিং গ্যারেজ, অভ্যন্তরীণ রাস্তা, সাব-ষ্টেশন, জেনারেটর ও পাম্প হাউজ নির্মাণ করা হয়।

 


চট্টগ্রামের ২টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মধ্যে একটি রাউজান অপরটি সন্দ্বীপ উপজেলায়। প্রতিষ্ঠার ২ বছর পর সৃষ্টি হয়েছে হতাশার। সন্দ্বীপ উপজেলায় প্রতি ৪ জনে ১ জন প্রবাসী হলেও ট্রেনিং এর জন্য তেমন আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না। এলাকার জনসাধারণের মধ্যে দেড় বছরে মাত্র ৯ জন জনবল দিয়েছে সরকার। সন্দ্বীপে ২ বছরে ভর্তি হয়েছে মাত্র ৪০ জন প্রশিক্ষণার্থী।

 

কেন্দ্রটিতে ৮৫ জনের জনবল থাকার কথা থাকলেও আছেন অধ্যক্ষ, শিক্ষক ৩ জন, ওয়ার্কসফ ১ জন, হিসাবরক্ষক ১ জন, কম্পিউটার অপারেটর ১ জন সহ সর্বমোট ৭ জন। প্রচার করেও ছাত্র-ছাত্রী আনা যাচ্ছে না।

 


এ বিষয়ে জানতে চাইলে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে-সন্দ্বীপ এর অধ্যক্ষ মোজাফফর আহমদ বলেন, ‘সন্দ্বীপ সেন্টারে জয়েন করেছি তিন মাস। প্রশিক্ষনার্থী বাড়ানোর জন্য আমি প্রতিটি কলেজ ও বিদ্যালয়ে গিয়ে প্রচারণা চালিয়েছি। কিন্তু ভর্তির আগ্রহ কম দেখছি। দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে এই সেন্টারে সব ধরণের সুযোগ-সুবিধা রয়েছে।’

 


সন্দ্বীপ ইউএনও মো. খোরশেদ আলম চৌধুরী বলেন, জনবল ও প্রশিক্ষণার্থী বাড়ানোর জন্য আমাদের প্রচেষ্টা অব্যহত রয়েছে। প্রশিক্ষণার্থী বাড়াতে লিফলেট সহ প্রচার করা হচ্ছে।

 

ভোরের আকাশ/ সু