গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সাহেবগঞ্জ-বাগদাফার্মে সাঁওতাল হত্যা, বাড়ি ঘরে অগ্নিসংযোগ, লুটপাটের সুষ্ঠু বিচার ও ইপিজেড নির্মাণ সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল, অবস্থান কর্মসূচি ও জেলা প্রশাসককে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সাহেবগঞ্জ-বাগদাফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটি ও আদিবাসী-বাঙালি সংহতি পরিষদের আয়োজনে এসব কর্মসূচি পালন করা হয়।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বাগদাফার্ম এলাকা থেকে সাঁওতাল-বাঙালিরা গাইবান্ধা শহরের সুখশান্তির বাজার এলাকা থেকে একটি মিছিল নিয়ে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যান। সেখানে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. মশিউর রহমানের হাতে সাহেবগঞ্জ-বাগদাফার্মের জমিতে ইপিজেড বাতিলসহ বিভিন্ন দাবি সংবলিত একটি স্মারকলিপি তুলে দেন সাঁওতাল-বাঙালিদের প্রতিনিধিরা।
এর আগে তারা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। কর্মসূচিতে আদিবাসী ঐতিহ্যের প্রতীক তির-ধনুক, ফেস্টুন ও ব্যানার হাতে শতাধিক সাঁওতাল-বাঙালি নারী-পুরুষ অংশ নেন।
সাহেবগঞ্জ বাগদাফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটির সভাপতি ফিলিমন বাস্কের সভাপতিত্বে অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে বক্তব্য দেন, আদিবাসী-বাঙালি সংহতি পরিষদের আহ্বায়ক অ্যাড. সিরাজুল ইসলাম বাবু, জাতীয় আদিবাসী পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বিচিত্রা তির্কী, গাইবান্ধা সামাজিক সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর কবির তনু ও সদস্য সচিব মোরশেদ হাসান দীপন, সদর উপজেলা আদিবাসী-বাঙালি সংহতি পরিষদের আহবায়ক গোলাম রব্বানী মুসা, আদিবাসী নেতা র্যাফেল হাসদা, মার্থিয়াস মার্ডি প্রমুখ।
২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর চিনিকল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ এসব জমিতে উচ্ছেদের উদ্দেশ্যে গেলে সাঁওতালদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে ৩ সাঁওতাল শ্যামল হেমব্রম, রমেশ টুডু ও মঙ্গল মারডি নিহতসহ অন্তত ২০ জন আহত হন। পরে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বেপজা কর্তৃপক্ষকে ইপিজেড বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়। বেপজা সাহেবগঞ্জ-বাগদাফার্মে ইপিজেড স্থাপনের উদ্যোগ নেয়।
ভোরের আকাশ/ সু