logo
আপডেট : ১৪ মার্চ, ২০২৪ ১৫:০৫
আমদানির খবরে দাম কমেছে পেঁয়াজের
পাবনা প্রতিনিধি

আমদানির খবরে দাম কমেছে পেঁয়াজের

ক্যাপশন: অর্ধেক দামে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ

পাবনায় নতুন পেঁয়াজ ওঠা ও ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির খবরে পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। হাট-বাজারে প্রতিমণ পেঁয়াজ ১৫০০ থেকে ১৯০০ টাকা করে কমেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ও বুধবার পাবনার বড় পেঁয়াজের হাট বনগ্রাম, চিনাখড়া, আতাইকুলা সাঁথিয়া, সুজানগর, কাশিনাথপুর, আরিফপুর, দাশুড়িয়া ও টেবুনিয়া হাটসহ সহ বিভিন্ন স্থানে প্রতিমণ পেঁয়াজ ২৫০০ থেকে ২৬০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। অথচ রোজা শুরুর আগে প্রতি মণ পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪ হাজার ৩০০ টাকা থেকে ৪ হাজার ৪০০ টাকা টাকায়।

 

স্থানীয় পেঁয়াজ ব্যবসায়ী ও চাষীরা বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির খবরে পেঁয়াজের বাজার নেমে গেছে। মাত্র এক দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কমেছে মণ প্রতি ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা। রাজধানী ঢাকা ও অন্য জেলা থেকে পাইকাররা এসে বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ পাবনার বিভিন্ন হাটবাজার থেকে কিনে নিয়ে যান। গতকাল বৃহস্পতিবার পাবনা বড় বাজারে প্রতি মন পেঁয়াজ ২৫০০ থেকে ২৬০০ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। শহরে খুচরা প্রতি কেজি ভাল মানের পেঁয়াজ ৬৫ থেকে ৭০ টাকা কেজি দেরে বিক্রি হয়েছে।

 

আতাইকুলা হাটের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী পিন্টু কাজী বলেন, পেঁয়াজের বাজার ওঠানামা করে পরিবেশ পরিস্থিতির উপর। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের এতে করার কিছু নেই। তিনি জানান, নতুন পেঁয়াজ ওঠা ও ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি খবরে পেঁয়াজের উৎপাদনের রাজধানী বলে পরিচিত পাবনা জেলায় পেঁয়াজের দাম ১ দিনের ব্যবধানে কমে গেছে। এসব এক শ্রেণীর বড় ব্যবসায়ীদের কারসাজি।

 

পাবনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি কর্মকর্তা ইদ্রিস আলি বলেন, পাবনা জেলায় এবার ৪৪ হাজার ৬০ হেক্টর জমিতে চারা পেঁয়াজ রোপণ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ৯০ হেক্টরের মত জমির পেঁয়াজ তোলা হয়েছে। পুরোদমে তোলা শুরু হলে দাম আরো কমে যাবে। গত মৌসুমে জেলার ৯ উপজেলায় পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে প্রায় ৭ লাখ ২০ হাজার ৯৮৫ টন। এবারেও পেঁয়াজ আবাদ ভাল হয়েছে।

 

ভোরের আকাশ/মি