logo
আপডেট : ১৯ মার্চ, ২০২৪ ১২:৫৮
ঘাস চাষে আগ্রহ বাড়ছে খামারিদের
ময়মনসিংহ ব্যুরো

ঘাস চাষে আগ্রহ বাড়ছে খামারিদের

ক্যাপশন: ত্রিশালে নেপিয়ার জাতের ঘাস চাষ করা হচ্ছে

দিন যত যাচ্ছে হু হু করে গোখাদ্যের দাম ততই বাড়ছে। এতে গবাদি পশু লালন-পালন করতে হিমশিম খাচ্ছেন খামারিরা। ফলে ময়মনসিংহের ত্রিশালে নেপিয়ার জাতের ঘাস চাষে আগ্রহ বাড়ছে গরু খামারিদের।

 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার সবগুলো ইউনিয়নেই ঘাস চাষ করা হচ্ছে। তবে ফসল কম হয় এমন অনাবাদি জমি, বাড়ির আঙিনা, পুকুর পাড়, পতিত জায়গা ও সড়কের দুপাশে বেশী পরিমাণ ঘাস চাষ হচ্ছে। অনেকে এই ঘাস চাষ করে নিজেদের গরুর চাহিদা মিটিয়ে বাকী ঘাসগুলো বিক্রি করছেন। এতে লাভবান হচ্ছেন তারা।

 

পৌরসভার নওধার গ্রামের খামারি খাইরুল বাশার নেপিয়ার ঘাস চাষ করেছেন। তিনি বলেন, উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের কর্মকর্তাদের পরামর্শ নিয়ে ৫০ শতাংশ জমিতে ঘাস চাষ করেছি। চারা রোপনের তিন মাস পর ঘাস বিক্রির উপযোগী হয়। এসব ঘাস নিজের গবাদি পশুকে খাওয়ানোর পাশাপাশি বিক্রি করে স্বাবলম্বী হয়েছি।

 

আব্দুল হাই নামের আরেকজন কৃষক বলেন, ছোলা, ভুট্টা, ভুসি, ফিড ও খড়ের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় গরু লালন-পালনে লোকসান হচ্ছে। তাই এসব গোখাদ্যের পরিমাণ কমিয়ে ঘাস চাষে মনোযোগী হয়েছি। এতে খরচও অনেক কম হচ্ছে।

 

এ বিষয়ে ত্রিশাল উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. নাজনীন সুলতানা বলেন, গবাদি পশুর প্রধান খাদ্য ঘাস। পুষ্টিকর ঘাসে গরুর দেহ গঠনকারী আমিষ উপাদানসহ নানা ধরনের উপাদন মজুদ রয়েছে। নেপিয়ার জাতের ঘাসও অনেক পুষ্টিকর। আমরা খামারিদের বিনামূল্যে নেপিয়ার ঘাসের কাংটি সরবরাহ করছি।

 

তিনি বলেন, খামারীরা এসব সংগ্রহ করে তাদের পতিত জমিতে আবাদ করেছেন। অনেকে ঘাস বাজারে বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন।

 

ভোরের আকাশ/মিমমিমি