logo
আপডেট : ২১ মার্চ, ২০২৪ ১৮:৫৫
থোকায় থোকায় দুলছে লিচুর মুকুল
খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

থোকায় থোকায় দুলছে লিচুর মুকুল

মুকুলের মৌ মৌ গন্ধে মুগ্ধ এলাকাবাসি

পর্যাপ্ত মুকুল আসায় বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন লিচুচাষিরা মুকুলের মৌ মৌ গন্ধে মুগ্ধ হয়ে উঠছে পুরো এলাকা। থোকায় থোকায় লিচুর মুকুল দুলছে বসন্তের মাতাল হাওয়ায়। সবুজ পাতার ফাঁকে সোনালী মুকুল গুচ্ছ যেনো হাসছে। সেই হাসিতে মাতাল হয়ে মৌমাছিগুলো উড়ছে তো উড়ছেই। বাগানের সুনসান নীরবতা চিরে একটানা গান শোনাচ্ছে ঝিঁ ঝিঁ পোকা। লিচু চাষিদের মুখে ফুটেছে তৃপ্তির হাসি। পর্যাপ্ত মুকুল আসায় বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন লিচুচাষিরা।

 

এটি লিচুর রাজ্য হিসেবে পরিচিত ও দেশব্যাপী লিচুর জন্য বিখ্যাত উত্তরের জেলা দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার লিচু বাগানের চিত্র। এই জেলার সুস্বাদু আর রসালো লিচুর সুনাম রয়েছে দেশজুড়ে। রসালো এই লিচু অনেকের কাছে প্রকৃতির রসগোল্লা হিসেবে পরিচিত।

 

সরেজমিনে উপজেলার বেশকিছু লিচুবাগান সরেজমিন ঘুরে খো গেছে, মুকুলে মুকুলে ছেয়ে আছে লিচুর বাগান। মুকুলে মৌ মৌ গন্ধ ছড়িয়েছে। সেই গন্ধে ছুটে আসছে মৌমাছিরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার লিচুর বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা। এই আশায় বুক বেঁধেছেন লিচু চাষীরা।

 

উপজেলা পাকেরহাট, কালির বাজার, জোয়ার, খামারপাড়া, শেফালির বাজার, কাচিনিয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে লিচু আবা হয়ে আসছে। এখানকার উৎপাদিত লিচু চলে যায় রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে। অধিকাংশ বাগানে থোকায় থোকায় ফুটে আছে লিচুর মুকুল।

 

বর্তমানে পানি, সার, কীটনাশক স্প্রেসহ পরিচর্যায় ব্যস্ত লিচু চাষীরা। গতবছরের তুলনায় এবার মুকুল বেশি হওয়ায় আশায় ভাল ফলন ও দাম পাওয়ার আশা করছেন চাষিরা।

 

লিচুর বাগান পরিচর্যারত খামারপাড়া গ্রামের লিচুচাষী রুবেল ইসলাম বলেন, ‘গতবছর দেড় বিঘা জমির লিচু গাছ থেকে লিচু বিক্রি করেছিলাম তিন লাখ টাকার। এবার যেমন মুকুল দেখছি তাতে ফলন বেশি হবে।’

 

লিচুচাষী আকিবুল বলেন, ‘গত বছরের চেয়ে এ বছর অনেক বেশি মুকুল খেতে পাচ্ছি। আমরাও আশাবাদি এবার ফলন আরো ভাল হবে। গত বছরের শেষের দিকে খরায় কিছুটা ক্ষতি হয়েছিল। এবার লাভবান হবো বলে আশা করছি।’

 

লিচু চাষী পলাশ বলেন, ‘লিচুর ফলন নির্ভর করে আবহাওয়ার ওপর। এবার এখন পর্যন্ত যেমন আবহাওয়া দেখছি, তেমন বজায় থাকলে এবার বাম্পার ফলন হবে। আমরা সেই লক্ষে এখন বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছি।’

 

ভোরের আকাশ/মি