কয়েক বছর আগেও ঈদে বাড়ি ফেরা মানুষের উপচে পড়া ভিড় থাকত রাজধানীর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে। তবে বছর দুয়েক ধরে বদলেছে চিত্র। লঞ্চ ছেড়ে, অনেকেই পদ্মা সেতু হয়ে বাসের রুট বেছে নিয়েছেন। আর সেকারণেই ঈদ ঘিরে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে নেই আগের মতো যাত্রীচাপ। নেই বাড়তি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগও। নৌ পথে স্বাচ্ছন্দ্যেই যাত্রা করছেন ঘরমুখো মানুষ।
এদিকে নৌ পরিবহনবানান সঠিক নয়পরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহ্মুদ চৌধুরী জানিয়েছেন, ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে বাড়তি ৩০টি লঞ্চ সদরঘাট থেকে বিভিন্ন রুটে চলাচল করছে।
যাত্রীরা বলছেন, পদ্মা সেতুর চালুর পর লঞ্চ মালিকদের দাপট অনেকটাই কমে গেছে। এখন আর বাড়তি ভাড়া চাওয়া হয় না। অতিরিক্ত যাত্রীও বহন করা হয় না। টাকা কম লাগে, আর জার্নি খুব আরামদায়ক বলেই লঞ্চে ভরসা তাদের।
তবে ক্ষতির কথা বললেন লঞ্চ সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, যাত্রী সঙ্কটে কয়েকটি লঞ্চ রুট প্রায় বন্ধের পথে। ঈদের আগেও যাত্রীর চাপ নেই।
এমভি শাহরুখ-২ লঞ্চের পরিচালক মাহবুবুর রহমান ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনকে বলেন, ‘একেতো তেলের দাম বাড়তি, আবার পদ্মা সেতুর চাপ তো আছেই। আমরা ক্ষতিতে আছি। লাভের মুখ না দেখেই বিভিন্ন রুটে আমাদের লঞ্চ চলছে।’
যাত্রীদের নিরাপত্তায় লঞ্চ টার্মিনালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতাও দেখা গেছে চোখে পড়ার মতো।
ভোরের আকাশ/মি