রাজশাহীর পুঠিয়ার ঝলমলিয়া বাজারে শরীফা ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসায় দুই জন রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে ৩১ মার্চ নাটোর চন্দনপুর গ্রামের রাকিবুল ইসলাম বাদি হয়ে রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, রাজশাহী সিভিল সার্জন, পুঠিয়া ইউএনও সহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুঠিয়া হাসপাতালের উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডা. মো. আলী মাজরুই রহমান ৩১ মার্চ জুনিয়ার কনসালটেন্ট মেডিসিন ডা. মোহাম্মদ মতিউর রহমানকে সভাপতি, জুনিয়ার কনসালটেন্ট গাইনী ডা. রহিমা খাতুনকে সদস্য এবং জুনিয়ার কনসালটেন্ট এ্যানেস্থেসিয়া বিধান কুমার ফৌজদারকে সদস্য সচিব করে তদন্ত কমিটি গঠন করেন। বর্তমানে তদন্ত চলমান রয়েছে।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলার ঝলমলিয়া বাজারে অবস্থিত শরীফা ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসায় দুই জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। ১৩ মার্চ নাটোর জেলার জালালাবাদ গ্রামের জিয়াউর আলীর মেয়ে এবং আজিজুল ইসলামের স্ত্রী জেসমিন (১৯) কে ডায়রিয়া চিকিৎসা ও বাচ্চা প্রসবের জন্য ভর্তি করে। এ সময় ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ গাইনী ডা. চন্দনা এবং কথিত ডা. অবিনাশ দ্রুত অপারেশন করা না হলে বাচ্চা ও তার মা দুই জনই মারা যাবে বলে ভয়ভীতি দেখিয়ে আমাদের আপত্তি উপেক্ষা করে অপারেশন করেন। কিছুক্ষণ পর বাচ্চা বের করে কেবিনে দিলেও রোগীকে আর বের করা হয় না। অপারেশন চলাকালেই রোগী আরো দুইবার মলত্যাগ করে এবং অপরেশন থিয়েটারে মারা যায়। পরে দ্রুত রোগীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলে।
অপরদিকে ১৯ মার্চ নাটোর জেলার বীরাহিমপুর কটিপাড়া গ্রামের শহিদুল ইসলামের স্ত্রী মাজেদা বেগম (৪২) কে একই ক্লিনিকে অপারেশন করেন, এমএস কোর্সের চলমান শিক্ষার্থী ডা. সুব্রত ঘোষ ও ডিএ কোর্সের ডা. অবিনাশ।
তাদের ভুল অপারেশনে সেদিন মৃত্যু হয় মাজেদা বেগমের। তারা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কোর্সের প্রশিক্ষণ করছেন। আর প্রশিক্ষণরত অস্থায় প্রাইভেট ক্লিনিকে তারা অপারেশন করতে বা রোগী দেখতে পারেন না। আইন অমান্যকারীদের তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী করেছেন অভিযোগকারীরা।
এ বিষয়ে বক্তব্যের জন্য ডা. সুব্রত ঘোষের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আপনি তো ডাক্তার না আপনি কী বুঝবেন। আমার বক্তব্য আপনার যা ভালো লাগে তাই লিখেন।’
ডা. অবিনাশের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।
পুঠিয়া ইউএনও এ.কে.এম নূর হোসেন নির্ঝর বলেন, অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তাকে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
ভোরের আকাশ/মি