মধ্যপ্রাচ্যের বৃহৎ সামরিক শক্তিসম্পন্ন দেশ ইরান। যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিবিএস নিউজকে এ তথ্য জানিয়েছেন দুই মার্কিন কর্মকর্তা। তবে তারা নিজেদের পরিচয় প্রকাশ করেননি।
এই কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হামলায় ব্যবহার করা হতে পারে ১০০ ড্রোন এবং কয়েক ডজন ক্ষেপণাস্ত্র। দখলদার ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর ঘাঁটি এবং অবস্থান লক্ষ্য করে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ছোড়া হবে হবে বলে জানিয়েছেন তারা।
তবে উত্তেজনা যেন নাটকীয় মোড় না নেয়, এই বিষয়টি বিবেচনা করে ইরানের হামলার তীব্রতা কম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন এই মার্কিন কর্মকর্তারা।
গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ককে অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেটে হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে ইরানের বিপ্লবী গার্ডের দুই জেনারেলসহ সাতজন নিহত হন। জেনারেলদের হত্যাকাণ্ডের জবাব দিতে সরাসরি ইসরায়েলে হামলার প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করে তেহরান।
গত বুধবার ঈদের বক্তব্যে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি জানান, কনস্যুলেটে হামলার মাধ্যমে ইহুদিবাদীরা (ইসরায়েল) ইরানের সার্বভৌমত্বের ওপর হামলা চালিয়েছে এবং এই অপরাধের কারণে তাদের অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে।
খামেনি এই বক্তব্যের মাধ্যমে মূলত ইসরায়েলে হামলার নির্দেশ দিয়েছেন।
ইরানের সম্ভাব্য হামলার কারণে রাশিয়া, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, ভারতসহ বেশ কয়েকটি দেশ দখলদার ইসরায়েলে এবং ফিলিস্তিনের অধিকৃত ভূখণ্ডে না যাওয়ার জন্য নিজ নাগরিকদের নির্দেশ দিয়েছে।
ইরানের হামলা থেকে বাঁচতে গত ১০ দিন ধরে প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েল। ইরান যেন জিপিএস ব্যবহার করতে না পারে সেজন্য বিভিন্ন স্থানে এই সেবা বন্ধ করে দিয়েছে দখলদার ইসরায়েল।
ভোরের আকাশ/মি