দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে অনুকূলে আবহাওয়ার কারণে ভুট্টার বাম্পার ফলনের পাশাপাশি দামও দ্বিগুণ হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। রবি ও খরিপ দুই মৌসুমেই বছরে দু’বার ভুট্টা আবাদ করে থাকেন কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরে উপজেলার কৃষক ৪ হাজার ১০ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষ করেছেন। গত বছর আবাদ হয়েছিল ৩ হাজার ৭৮০ হেক্টর জমিতে। উৎপানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৮ হাজার ১২০ মেট্রিক টন ভুট্টা।
উপজেলার আলাদিপুর ইউনিয়নের রাঙামাটি এলাকার ভুট্টা চাষি রফিকুল ইসলাম বলেন, অন্যের ৩ বিঘা জমি বর্গা নিয়ে ভুট্টা চাষ করেছেন। ভুট্টা বিক্রি ছাড়াও ভুট্টার গাছ জ্বালানী হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এছাড়াও যেসব জমিতে এক সময় বোরো চাষ করা হতো এখন সেইসব জমিতে কৃষকরা এখন ভুট্টা চাষ করছেন। ধানসহ অন্যান্য ফসলের তুলনায় ভুট্টা চাষে খরচ ও শ্রম কম এবং দাম বেশি পাওয়ায় কৃষদের মাঝে ভুট্টা চাষে আগ্রহ বাড়ছে।
উপজেলার আমডুঙ্গি এলাকার ভুট্টা ব্যবসায়ী কলেজ শিক্ষক ইউসুফ আলী বলেন, এ বছর উপজেলায় সর্বত্রই ভুট্টার ফলন ভালো হয়েছে। একই সাথে ভুট্টার দামও বেড়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থানের গবাদি পশুর খাদ্য ও মুরগির খাদ্য প্রস্তুতকারি প্রতিষ্ঠানগুলো ইতোমধ্যেই ভুট্টা কেনার আগ্রহ দেখানোর জন্য এ বছর আগেভাগেই ভুট্টার দাম বেড়ে গেছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রুম্মান আক্তার বলেন, লাভজনক হওয়ায় উপজেলার কৃষকরা ভুট্টা চাষের আগ্রহী হয়ে উঠছেন। এ বছর উপজেলার পৌর এলাকাসহ সাতটি ইউনিয়নে ভুট্টা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৩ হাজার ৭৮০ হেক্টর জমি। কিন্তু শেষতক কৃষকরা চাষ করেছেন ৪ হাজার ১০ হেক্টর জমিতে। এছাড়াও কৃষকদেরকে ভুট্টা চাষে আগ্রহী করতে উপজেলা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে ৯৮০ জন কৃষককে প্রণোদনা হিসেবে বিনামূল্যে সার ও বীজ সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে ৯৮০ বিঘা জমিতে ভুট্টা চাষ করানো হয়েছে। চলতি মৌসুমে কাবেরী ৫৪, এমকে ৪০, পালোয়ান, সুপার শাইন, কাবেরী ৪৪, সিনজেনটা ৭৭২০ সহ বিভিন্ন জাতের ভুট্টা চাষ করা হয়েছে।
ভোরের আকাশ/মি