দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার ফুলবাড়ী শহরের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া হাজার বছরের ছোট যমুনা নদীটি খনন না করায় এখন পলি জমে ভরাট হয়ে গেছে। নদীতে এখন ধুধু বালুচর। পানি নেই নদীতে। নদীটি প্রায় প্রস্থে ৩০০ ফুট থেকে ৪০০ ফুট।
এক সময় এই ছোট যমুনা নদীটি খরস্রোতা ছিল। এই নদী দিয়ে পানি পথে বিভিন্ন জেলার ব্যবসায়ীরা নৌকায় করে ধান, পাট সহ বিভিন্ন পন্য আনা-নেওয়া করত। কালের বিবর্তনে এখন আর ছোট যমুনা নদীতে নৌকা চলে না। ছোট যমুনা নদীতে এখন কৃষকেরা রবিশস্য সহ বিভিন্ন ফসল উৎপাদন করে। প্রায় ৩০ কি. ছোট যমুনা নদীটি এখন পানি শূন্য।
এই নদীটি উত্তর থেকে এসে চিরিরবন্দর, পার্বতীপুর, ফুলবাড়ী, বিরামপুর, বাংলা হিলি, পাঁচবিবি ও জয়পুরহাট হয়ে বয়ে গেছে। এর মধ্যে নদীর কিছু অংশ ভারতের মধ্যে পড়ে যায়। বর্তমানে ছোট যমুনা নদীটি খনন না করার কারণে বর্ষাকালে পানিতে অতিরিক্ত ভরার হয়ে যাওয়ায় বেশ কয়েকটি গ্রামে পানি ঢুকে। এতে গ্রামগুলো সহ ফসলের ব্যপক ক্ষতিসাধন হয়।
হাজার বছরের পুরাতন এই ছোট যমুনা নদীটি পুনরায় খনন করা হলে একদিকে যেমন বর্ষকালে নদী সংলগ্ন গ্রামগুলি পানিতে প্লাবিত হবে না। অন্য দিকে বন্যার কবল থেকে রক্ষা পাবে আবদী জমি ও গ্রামগুলি। খনন করা হলে সারা বছর নদীতে পানি থাকবে এই পানি ব্যবহার করে কৃষকেরা জমিতে ফসল উৎপাদন করতে পারেবে। জেলেরা সারা বছর জীবন জীবিকা জন্য মাছ আহরণ করতে পারবে। দীর্ঘ ১ হাজার বছর ধরে এই নদীটি খনন করার কোন উদ্দ্যোগ নেই। সারা দেশে এমন আরো নদীগুলো খনন কাজ শুরু হলেও ফুলবাড়ী ছোট যমুনা নদীটির খনন কাজ কবে শুরু হবে তা অনিশ্চিত।
এ বিষয়ে দিনাজপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তবে গত মাসে সরাসরি যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অতি শীঘ্রই প্রায় ১৫ কিলোমিটার নদীর খনন কাজ শুরু হবে। নদীটির খনন কাজ শুরু হলে এলাকার মানুষ উপকৃত হবে।
ভোরের আকাশ/ সু