ঢাকার ধামরাইয়ে বিভিন্ন এলাকায় অঞ্চলিক সড়ক ঘেঁষে রয়েছে অনেক ইটভাটা। এই সব ইটভাটার প্রধান কাচামাল মাটি। এই মাটি ফসলি জমি থেকে কেটে এনে সড়কের পাশে স্তূপ করে রাখা হচ্ছে। এসব স্তূপ থেকে কখনো কখনো মাটি সড়কের ওপর এসে পড়ছে। এতে বৃষ্টি হলেই সড়ক কাঁদার রাস্তায় পরিণত হয়। যে কারণে পথচারীদের ভোগান্তির শিকারসহ দুর্ঘটনার শিকার হতে হয় অটো-ভ্যান-মোটরসাইকেলসহ ছোট বড় যানবহন চালকদের।
দেখা যায়, সুতিপাড়া-নান্নার সড়ক,কালামপুর-সাটুরিয়া সড়ক, কাওয়ালীপাড়া-বালিয়া সড়ক, শ্রীরামপুর-সুয়াপুর সড়কের বেশ কিছু জায়গায় সড়কের পাশেই দেখা যায় মাটির স্তূপ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শ্রীরামপুর -সুয়াপুর আঞ্চলিক সড়কের ভাটারখোলায় গড়ে উঠা এম.জে.এ ব্রিকস্ নামের ইটভাটার জন্য মাটি কেটে এনে স্তূপ করে রাখা হচ্ছে। সড়কেই ট্রাক দাড় করিয়ে মাটি অনলোড করার কারনে রাস্তায় চলাচলকারী যানবাহনের ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। এ মাটির স্তূপের কারণে এ সড়ক দিয়ে চলাচলকারী পথচারীদেরও পোড়তে হচ্ছে দুর্ভোগে। প্রায়ই স্তূপ থেকে মাটি নিচের সড়কের ওপর এসে পড়ে ধুলায় পরিনত হচ্ছে। সামান্য একটু বৃষ্টি হলে এ ধুলা কাঁদায় পরিণত হবে। এতে ঘটতে পাড়ে ছোট বড় দুর্ঘটনা।
সিএনজি, অটোরিকশা চালকরা জানান, বৃষ্টি না হলে তেমন সমস্যা হয় না। শুধু বৃষ্টি হলে ধুলার রাস্তা কাঁদার রাস্তায় পরিনত হয়। আমরা সব সময় আতঙ্কে থাকি। যাত্রীরাও আতঙ্কে থাকে কখন দুর্ঘটনা ঘটে।
পথচারীরা বলেন, সড়কের পাশে ইটভাটার মাটি রাখা ছোট-বড় মাটির দলা ও ঝুরঝুরে মাটি এসে পড়ে পাকা সড়কের ওপর। শুকনো মৌসুমে সড়কটির ওপর চলাফেরা করা গেলেও বৃষ্টির সময় কাঁদায় রাস্তা পিচ্ছিল হয়ে পড়ে। এতে সড়কে চলাচলকারী যানবাহনগুলো দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এছাড়া পায়ে হেটে চলাতেও অনেক সমস্যা হয়।
এলাকাবাসী জানায়, শুধু সড়কের পাশে ইটভাটার স্তূপ থেকে নয়ক ইটভাটার মাটি নেয়ার সময় অতিরিক্ত লোডকৃত মাটি রাস্তায় পরে সৃষ্টি হচ্ছে ধুলার। একটু বৃষ্টি হলে আবার তৈরি হবে কাদায়। লোডকৃত মাটিবাহী যানবাহনের অতিরিক্ত চাপে ক্ষতবিক্ষত হচ্ছে রাস্তার। যে কারনে আমাদের ভোগাস্তি পোহাতে হচ্ছে। চেয়ারম্যান মেম্বারসহ অনেক রাজনীতিবিদরা রয়েছে এ ব্যবসা সাথে জড়িত। আবার কেউ বড় বড় নেতাদের পরিচয় দিয়ে তাদের সাঙ্গপাঙ্গরা করছে এই ব্যবসা। তাদের বিরোধে প্রতিবাদ করলে মামলা হামলার হুমকি দেয়। আর ট্রাক দিয়ে মাটি নেওয়ার সময় রাস্তার পাশে থাকা ফসলের মধ্যে ধুলার প্রলেপ পড়ে নষ্ট হচ্ছে ফসল। শুধু তাই নয় ধুলা ডুকে যাচ্ছে বাড়ি-ঘরের ভিতর। আর একটু বৃষ্টি হলে কাঁদায় পরিনত হচ্ছে রাস্তা। এলাকাবাসীর অভিযোগ সরকারি কর্মকর্তাদের নজরদারির অভাবে রাস্তার এ অবস্থা তৈরি হচ্ছে।
ধামরাই ইউএনও খান মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, এ বিষয়ে আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে। সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সেখানে গেলে তারা আগামী ৩ দিনের মধ্যে সরিয়ে নিবে মর্মে মুচলেকা সম্পাদন করেন। না হলে পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে মর্মে জানানো হয়েছে।
ভোরের আকাশ/মি