logo
আপডেট : ২১ এপ্রিল, ২০২৪ ১৯:১৫
মানবেতর জীবন-যাপন করছে মাদ্রাসার শিক্ষক-কর্মচারীরা
যশোর প্রতিনিধি

মানবেতর জীবন-যাপন করছে মাদ্রাসার শিক্ষক-কর্মচারীরা

ক্যাপশন: বাজে দুর্গাপুর দাখিল মাদ্রাসা

বাজে দুর্গাপুর দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক-কর্মচারীরা মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। এমপিও ভুক্ত হওয়ার পরেও তারা বেতন বঞ্চিত। ২০২২ সালের এমপিও ভুক্ত হওয়ার পরও তাদের বেতন বঞ্চিতের কারণ যশোর সদর উপজেলা থানা শিক্ষা কর্মকর্তা।

 

মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর অর্থ শাখা ২০২২ সালের ১৭ জুলাই বাজে দুর্গাপুর দাখিল মাদ্রাসাটিকে এমপিও ভুক্ত করে। যার স্মারক নম্বর ৫৭.২৫.০০০০.০০২.০৮.০০৮.১৮.৪৯। তালিকায় ৯৩ সিরিয়ালে থাকা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির এমপিও কোড ১১৬০৯৬২১২২।

 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বার বার মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর ঢাকা অফিস থেকে কাগজ পত্র চাওয়া হলেও যশোর কোতওয়ালি থানা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম সঠিকভাবে সকল কাগজপত্র পাঠাননি। এ কারণে মাদ্রাসার ১৭ শিক্ষক-কর্মচারী বর্তমানে দুর্বিসহ জীবন যাপন করছে।

 

থানা শিক্ষা কর্মকর্তা একবার বলেন এই কাগজ নেই, আরেকবার বলেন ওই কাগজ দাও। এভাবেই তিনি নাকে দড়ি দিয়ে ঘুরাচ্ছেন বাজে দুর্গাপুর দাখিল মাদ্রাসার ফাইল।

 

শিক্ষক কর্মচারী ও ইউএনও দপ্তর থেকে জানা গেছে, এ বিষয়ে ইউএনও’র অফিসে এক দফা আলোচনা হয়। তখন শিক্ষকেরা তাদের অভিযোগ তুলে নেন ফাইল দ্রুত পাঠানোর শর্তে। তখন থানা শিক্ষা কর্মকর্তা সেই অঙ্গীকার করেন। কিন্তু তিনি বার বার অজুহাতে দেরি করছেন।

 

যশোর সদর উপজেলার মাহিদিয়া গ্রামে সরেজমিনে দেখা গেছে, মাদ্রাসা সুপার মো. এনামুল কবিরের বাড়িতে কান্নার রোল। তার পিতা, মাতা, স্ত্রী, সন্তানের এবার ঈদের বাজার হয়নি। এখনো তিন বেলা খাবার জুটছে না।
তিনি বলেন, ‘থানা শিক্ষা কর্মকর্তা ফাইল না পাঠালে আমি আর কি করবো। চেষ্টা তো কম করছি না। মানুষের কষ্ট তিনি না বুঝলে কে কি করবে।’

 

শিক্ষক রাসেদুজ্জামান বলেন, সেই কবে প্রতিষ্ঠানটি এমপিও ভুক্ত হয়েছে। কিন্ত আমরা বেতন পাচ্ছি না।

 

স্কুলের আয়া ডালিমা খাতুন বলেন, আজ ১৫-২০ বছর বেতন বঞ্চিত। এবার ঈদেও না খেয়ে থেকেছি। কার কাছে আর হাত পাতবো। এমনিতে আমার স্বামী নেই তাই আমার কষ্ট আরো বেশি।
যশোর-৩ সদর আসনের এমপি কাজী নাবিল আহমেদের কাছে এ বিষয়ে গতকাল রোববার গেলে জানা যায়, তিনি এখন ঢাকায়। তার পিএস সুজন সাত্তার ও ঢাকায়।

 

তবে এমপির কাছের একজন রাজনীতিবিদ বলেন, থানা শিক্ষা কর্মকর্তা সঠিক বলেনি। কেনোনা এই এমপি কারো পেটে লাথি মারা লোক নন। তিনি হয়তো বিষয়টি জানেন না। তেমন হলে আমরাও জানতাম। কই এ বিষয়ে তো কখনো কিছু শুনিনি।

 

এই মাদ্রাসাটির শিক্ষক কর্মচারীরা কেন বেতনভুক্ত হচ্ছে না-এই প্রশ্নের উত্তর জানতে থানা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলামকে মোবাইলে কল করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

 

ভোরের আকাশ/মি