logo
আপডেট : ১ মে, ২০২৪ ২২:৩৩
ড্রেন-সড়কে বোতল-পলিথিন না ফেলতে সাধারণ মানুষের মাঝে রাইট টক বাংলাদেশের ধারাবাহিক সচেতনতা
ইসমাইল হোসেন

ড্রেন-সড়কে বোতল-পলিথিন না ফেলতে সাধারণ মানুষের মাঝে রাইট টক বাংলাদেশের ধারাবাহিক সচেতনতা

ছবি: ইসমাইল হোসেন

"আমার এলাকা আমার অহংকার, পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা হোক আমার অঙ্গিকার'' এমন অসংখ্য প্রতিপাদ্য সামনে রেখে জনপ্রিয় সামাজিক সংগঠন রাইট টক বাংলাদেশ এর উদ্যোগে সকাল থেকে রাজধানীর শহরের ড্রেন ও সড়কে ময়লা আর্বজনা, বোতল, পলিথিন না ফেলতে সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীদের মাঝে জনসচেতনতা সৃষ্টির দ্বিতীয় তম কর্মসূচি চলছে সংগঠনটির।

বুধবার (১ মে ) বিকাল ৩ টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রাজধানীর নাজিমউদ্দীন রোড থেকে শুরু করে বঙ্গবাজার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, চানখারপুল মোড়, ঢাকা মেডিকেলের সামন এবং বংশাল থানার অলিগলিতে এই কর্মসূচি পালন করেন রাইট টক বাংলাদেশ এর সদস্যরা।

আমার এলাকা আমি নিয়মিত পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখব, যেই পথে আমি চলাচল করি সেই পথ রাখিব পরিস্কার পরিচ্ছন্ন। এমন স্লোগানে মুখর হয়ে উঠে।

রাইট টক বাংলাদেশ এর প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি আল আমিন এম তাওহীদ এসময় বলেন, অসচেতন নাগরিক ও ব্যবসায়ীরা ময়লা আবর্জনা সড়কে এবং ড্রেনে ফেলেন যার ফলে পানি চলাচলে বাঁধা হয়। এছাড়াও ময়লা আবর্জনা সড়কে ফেলার কারণে ধুলাবালি ও পরিবেশ নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি বায়ু দূষণ হচ্ছে। সেসব বিষয়ে রাইট টক বাংলাদেশ। একটি সুন্দর শহর এবং সমাজের পরিবেশ ধরে রাখতে মানুষের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করার কোনো বিকল্প নেই। কারণ বাংলাদেশের মানুষ অসচেতন বেশি, যার ফলে পরিবেশের দিন দিন ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, ড্রেনে বোতল, পলিথিন ও নানা ধরণের কাগজপত্র ফেলার ফলে বৃষ্টি হলে শহরের অনেক এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এ ধরনের কাজ আর যাতে কেউ না করে, সে বিষয়ে সকল শ্রেণির পেশার মানুষের মাঝে এই সচেতনতা করা হয়। রাইট টক বাংলাদেশ সবসময় ভাল কাজ করে যাবে। সুন্দর সমাজ সাজাতে প্রয়োজন দক্ষ নাগরিক, সেই নীতিবান পরিচ্ছন্ন নাগরিক গড়ে তুলতে আমরা কাজ করে যাবো।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, রাইট টক বাংলাদেশের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসানুর রহমান রনি, সাংগঠনিক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার রোহিত রওশন। এছাড়াও ছিলেন, বর্ষা আক্তার, ইসরাফিল, আজমাইন নিরব, মারুফুল হক, তানজিল চৌধুরী, ইমরান হাদী, মাহমুদুল হাসান সিয়াম, রেদোয়ান খান, মো. রাহাতসহ সকল সদস্যরা।

রাইট টক বাংলাদেশ এর এসব মহৎ কাজ ও কর্মসূচির ভূয়সী প্রশংসা করেন সাধারণ মানুষ।

ভোরের আকাশ/ ইস