logo
আপডেট : ১২ মে, ২০২৪ ১৮:০৮
কুমিল্লায় যুবলীগ নেতা হত্যা মামলায় ৯ জনের মৃত্যুদণ্ড
নিজস্ব প্রতিবেদক

কুমিল্লায় যুবলীগ নেতা হত্যা মামলায় ৯ জনের মৃত্যুদণ্ড

কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালত। ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে পূর্বশত্রুতার জেরে যুবলীগ নেতা জামাল উদ্দিনকে হত্যার দায়ে ৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।একই সঙ্গে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়াদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেওয়া হয়েছে।

আজ রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন। মামলার রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) জহিরুল হক সেলিম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

রায় ঘোষণার সময় যাবজ্জীবন সাজা পাওয়াদের একজন কাঠগড়ায় উপস্থিত থাকলেও মৃত্যুদণ্ড পাওয়া ৯ জনই অনুপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া পাঁচজনকে এ মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। মৃত্যুদণ্ড পাওয়ারা হলেন চৌদ্দগ্রামের আলকরা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. ইসমাইল হোসেন বাচ্চু, আলকরা ইউনিয়নের কুলাসার গ্রামের সালাউদ্দিন, আব্দুর রহমান, মফিজুর রহমান খন্দকার, জিয়াউদ্দিন শিমুল, জাহিদ বিন শুভ, রেজাউল করিম বাবলু, মো. রিয়াজ উদ্দিন মিয়াজী ও মমতা আমির হোসেন।

যাবজ্জীবন দণ্ড পাওয়া আসামিরা হলেন আলকরা ইউনিয়নের কুলাসার গ্রামের নুরুল আলম, কফিল উদ্দিন, নুরুন্নবী সুজন, ইকবাল আহমেদ, সাইফুল ইসলাম, মাহফুজুর রহমান খন্দকার, মোশারেফ হোসেন, মো. আলাউদ্দিন ও মোহাম্মদ আলী হোসেন।

মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন আলকরার কুলাসার গ্রামের নজরুল ইসলাম শিমুল, আজিম উদ্দিন, আনোয়ার হোসেন সোহেল, আতিকুর রহমান নান্টু ও ইউসুফ হারুন মামুন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৬ সালের ৮ জানুয়ারি চৌদ্দগ্রামের আলকরা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি জামাল উদ্দিনকে হত্যা করা হয়। ওই সময় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. ইসমাইল হোসেন বাচ্চুর চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্মের প্রতিবাদ করায় যুবলীগ নেতা জামাল উদ্দিনের সঙ্গে বিরোধ সৃষ্টি হয় তার। পরে জামাল উদ্দিনের ওপর হামলা চালিয়ে আহত করে। এ বিষয়ে জামাল উদ্দিন নিজে বাদী হয়ে আদালতে মামলা করেন।

মামলার পর চেয়ারম্যান  ইসমাইল হোসেন বাচ্চু ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরে ২০১৬ সালের ৮ জানুয়ারি রাত ৮টায় বাড়ি থেকে যুবলীগ নেতা জামাল ঢাকায় যাওয়ার পথে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রামের পদুয়ায় সড়কের ওপরে চেয়ারম্যান মো. ইসমাইল হোসেন বাচ্চুর নেতৃত্বে অন্য আসামিরা গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহত জামালের বড় বোন জোহরা আক্তার বাদী হয়ে ২৩ জনকে আসামি করে মামলা করেন।

মামলার পিপি জহিরুল হক সেলিম বলেন, মামলায় ২০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ৯ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৯ জনের যাবজ্জীবন ও মামলা থেকে পাঁচজনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া যাবজ্জীবন সাজা পাওয়া প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেওয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় একজন যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত ও দুজন খালাসপ্রাপ্ত উপস্থিত ছিলেন। বাকিরা পলাতক আছেন।