logo
আপডেট : ২০ মে, ২০২৪ ১৮:১৩
কাবিননামায় জোরপূর্বক স্বাক্ষর, উল্লাপাড়ায় স্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বামীর মামলা
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

কাবিননামায় জোরপূর্বক স্বাক্ষর, উল্লাপাড়ায় স্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বামীর মামলা

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় বিয়ের ৩০ বছর পর স্ত্রীর বিরুদ্ধে জাল কাবিননামা তৈরী করার অভিযোগ তুলেছেন স্বামী শরিফুল ইসলাম বকুল। স্বামীর জাল টিপসহি নিয়ে কাবিননামায় মোহরানা হিসেবে ১৫ লাখ টাকার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এঘটনায় তিনি উল্লাপাড়া আমলী আদালতে স্ত্রী সহ ৯ জনকে আসামী করে মামলাও দায়ের করেছেন। আদালতের নির্দেশে মামলাটি সিআইডি তদন্ত করছে।

 


সোমবার সকালে শরিফুল ইসলাম সাংবাদিকদের কাছে এসব অভিযোগ করে বলেন, স্বামীর দ্বারা স্ত্রী নির্যাতনের স্বীকার হন। কিন্তু আমি স্ত্রী দ্বারা নির্যাতনের স্বীকার হচ্ছি। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। আমাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে জোর পূর্বক কাবিননামায় স্বাক্ষর নেয়। ঘরের তালা ভেঙে আসবাপত্র যা কিছু ছিলো সব কিছু লুট করে নিয়ে গেছে। আমি চরম ভাবে স্ত্রীর দ্বারা নির্যাতনের স্বীকার হচ্ছি। আমাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। জমি-জমা যা কিছু ছিলো সব কিছু স্ত্রীর নামে লিখে দিয়েছি। এখন আমার নামে ৬শতক বাড়ি আছে সেটুকোও স্ত্রীর নামে লিখে দিতে বলে। বাড়ি লিখে না দেওয়ার কারনে আমাকে নির্যাতন ও হয়রানি করা হচ্ছে।

 


তবে এসব অভিযোগ অভিযোগ অস্বীকার করে স্ত্রী সালমা খাতুন ভোরের আকাশকে বলেন, তিনি যে অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন তা সত্য নয়। ১৯৯৪ সালে পারিবারিক ভাবে আমাদের বিয়ে হয়। তখন কাবিন নামা করা হয়নি। তাই ২০২১ সালে কাবিন নামা করেছি। মামলায় আমার পক্ষে রায় আসবে।

 


মামলার অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, উল্লাপাড়া উপজেলার সাতবিলা গ্রামের সাহেব আলীর ছেলে শরিফুল ইসলাম বকুলের সঙ্গে ১৯৯৪ সালে বিয়ে হয় একই উপজেলার ভাটবেড়া গ্রামের সালমা খাতুনের। ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর সড়ক দুর্ঘটনায় শরিফুল ইসলামের পা ভেঙ্গে পঙ্গু হয়ে যায়। একারনে স্ত্রী সালমা খাতুন মনে করেন শরিফুল ইসলাম কখনও সক্ষম হবেন না ভেবে পুত্র-কন্যা নিয়ে বাবার বাড়ি চলে যায়। এর পর সালমা খাতুন তার স্বামী শরিফুলের বিরুদ্ধে যৌতুক ও মারপিটের অভিযোগ এনে ২০২০ সালে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন।

 


এরপর ২০২০ সালের ১২ এপ্রিল উল্লাপাড়া উপজেলার দূর্গা নগর ইউনিয়ন পরিষদে শরিফুল ইসলামকে আটক করে অস্ত্রের ভয়ে জোর পূর্বক কাবিন নামায় স্বাক্ষর নেয় স্ত্রী সালমা খাতুন ও তার আত্নীয়রা। শরিফুল ইসলাম স্ত্রীর কাছে কাবিননামা ফেরত চাইলেও তা দেয়নি স্ত্রী। পরে কাবিননামায় মোহরানা হিসেবে ১৫ লাখ টাকার কথা উল্লেখ করা হয়। পরবর্তীতে কাবিননামা উদ্ধারের জন্য ২০২১ সালের ২৫ জানুয়ারী অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পিটিশন মামলা করেন শরিফুল ইসলাম। কাবিননামা জাল করে শরিফুল ইসলামের ২০ লাখ টাকার ক্ষতি করেছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।

 

ভোরের আকাশ/মি