সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন বুধবার অনুষ্ঠিত হবে। এবার নির্বাচনে চুলচেরা বিশ্লেষণ করে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিবেন, এমনটি জানিয়েছে ভোটাররা। এবার নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ সাতক্ষীরা জেলা শাখা সভাপতি, উপজেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য ও আনারস প্রতীকের প্রার্থী প্রভাষক সুশান্ত কুমার মন্ডল, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মোটরসাইকেল প্রতীকের এসএম শওকত হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা চিংড়ি মাছ প্রতীকের গোলাম মোর্শেদ, ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী অ্যাড. তামিম আহমেদ এবং লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী মশিউর রহমান।
এদিকে, পুরুষ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুইজন প্রার্থী বিএনপির ঘরনার শামস্ ইসতিয়াক শোভন ও আওয়ামী লীগের কোহিনুর ইসলাম নির্বাচনের আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা নির্বাচিত হয়েছেন।
এবার নির্বাচনে দুজন প্রার্থী এসএম শওকত হোসেন ও গোলাম মোরশেদ এর বিরুদ্ধে দলের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নিয়ে নৌকা প্রতীকের বিরোধী প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করা অভিযোগ রয়েছে। এই অভিযোগের কারণে তারা দল থেকেও বহিষ্কার হয়েছিলেন। অপর প্রার্থী অ্যাড. তামিম আহমেদ বিগত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করে হেরে যান। বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থীকে নির্বাচিত করার ফলে সাধারণ মানুষ এবার উপজেলা নির্বাচনে ভিন্ন কিছু খুঁজছে।
এবার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কতিপয় আওয়ামী লীগ নেতা কিছু প্রার্থীদের পক্ষ নিয়েছে নির্বাচনী মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখানো দু’এক জন নেতার কর্মকাণ্ডে সাধারণ নেতৃবৃন্দ হতবাক।
শহরের মাঠপাড়া এলাকার সাঈদ বলেন, সাতক্ষীরা সদর উপজেলাকে গণমানুষের উপজেলাতে রুপান্তরিত করার জন্য আমরা সর্বস্তরের মানুষের নেতা সুশান্ত কুমার মন্ডলকে এবার আমরা নির্বাচিত দেখতে চাই।
শহরে সুলতানপুরের বাসিন্দা আলামিন ও পলাশপোলের মাসুদ হোসেন বলেন, এবার নির্বাচন পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। ইতিপূর্বে কয়েকজন প্রার্থীকে আমরা পরীক্ষা করেছি। ভোটও দিয়েছি। কাঙ্খিত কোনো ফল পাইনি। জনগণের সাথে তাদের সম্পৃক্ততা ছিল না। এবার আমরা নতুন কিছুর খোঁজে আছি।
ভোরের আকাশ/মি