logo
আপডেট : ১ জুন, ২০২৪ ১৬:৫০
হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান বললেন
ভিসা পেয়েও যেতে না পারা কর্মীদের মালয়েশিয়ায় নেওয়ার চেষ্টা চলছে
নিজস্ব প্রতিবেদক

ভিসা পেয়েও যেতে না পারা কর্মীদের মালয়েশিয়ায় নেওয়ার চেষ্টা চলছে

পূর্বঘোষণা অনুযায়ী শুক্রবার (৩১ মে) ছিল বাংলাদেশসহ ১৫ সোর্স কান্ট্রি থেকে শ্রমিকদের মালয়েশিয়ায় প্রবেশের শেষ দিন। এদিন শেষ মুহূর্তে মালয়েশিয়ায় যেতে শ্রমিকদের উপচে পড়া ভিড় ছিল ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। শুধু তাই নয়, যেসব কর্মী মালয়েশিয়ার বিমানবন্দরে পৌঁছেছেন তাদের নিয়োগকর্তারা রিসিভ করতে দেরি হওয়ায় প্রায় ২০ হাজার কর্মী আটকা পড়েছিলেন। শনিবার (১ জুন) সকালে কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরের অবস্থা স্বাভাবিক হয়। কর্মীরা নিজ নিজ কোম্পানির কর্মস্থলে যোগ দেন।

 

কিন্তু শেষ মুহূর্তে ভিসা পেয়েও মালয়েশিয়া যেতে পারেননি প্রায় ৩০ হাজার বাংলাদেশি কর্মী। তাদের দ্রুত মালয়েশিয়ায় নেওয়ার ব্যাপারে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান। শুক্রবার (৩১ মে) রাতে কুয়ালালামপুর বিমানবন্দর পরিদর্শন শেষে এ কথা বলেন তিনি।


এসময় রাষ্ট্রদূত বলেন, যারা ভিসা পেয়ে মালয়েশিয়ায় আসতে পারেননি, তাদের নিয়ে আসার ব্যাপারে হাইকমিশনের পক্ষ থেকে চেষ্টা অব্যাহত থাকবে, যেন তাদের দ্রুত নিয়ে আসা যায়। তিনি বলেন, পাঁচ লাখ ২৭ হাজারের বেশি ডিমান্ড লেটার সত্যায়ন করেছি। এ পর্যন্ত চার লাখ ৭২ হাজারের বেশি কর্মী মালয়েশিয়াতে এসেছে। আমরা নিয়োগকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি, তারা যেন এসে এখানে কাজ পায়।

 

পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে শুক্রবার রাত ১০টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত কুয়ালালামপুর বিমানবন্দর পরিদর্শন করেন রাষ্ট্রদূত মো. শামীম আহসান।

 

এদিকে, শুক্রবার (৩১ মে) দিবাগত রাত থেকে বন্ধ হয়ে গেছে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার। এতে করে প্রায় ৩০ হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশী বাংলাদেশি অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছেন। শেষ মুহূর্তে তারা টিকিট না পেয়েও ভিড় করেন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। এসময় মালয়েশিয়া যাওয়ার টিকিট না পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন অনেকে।