মধ্যরাতের অতিবৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে সুরমা নদীর পানি সিলেট নগরীর বাসা বাড়িতে প্রবেশ করেছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সিলেট নগরীর বেশকিছু এলাকার বাসিন্দারা।
রোববার মধ্যরাতে সিলেট নগরীর উপশহর, যতরপুর, মেন্দিবাগ, জামতলা, তালতলা, শেখঘাট, কলাপাড়া মজুমদার পাড়া লালদীঘির পাড়সহ অনেক এলাকা পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
হঠাৎ মধ্যরাতে বাসাবাড়িতে পানি প্রবেশ করায় ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরের বাসিন্দারা। শহরাঞ্চলে এমনিতেই জরাজীর্ণ পরিবেশে বেশিরভাগ মানুষের বসবাস তার ওপর এই বন্যা তাদের মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা।
সিলেট নগরীর লালাদিঘির পার এলাকার মামুন আহমদ বলেন, এমনিতেই ভারত থেকে নেমে আসা উজানি ঢলে সিলেটের বেশ কয়েকটি উপজেলায় অবস্থা ভয়াবহ। এরমধ্যে সুরমা নদীর পানি টইটুম্বুর করছে কয়েকদিন থেকে। আজ টানা বৃষ্টিতে আমাদের ঘরে পানি উঠেছে।
নগরের জামতলা এলাকার বাসিন্দা অনুপ চক্রবর্তী জানান, বাসায় হাঁটুপানি। আসবাবপত্রসহ অনেক মূল্যবান জিনিসপত্র পানিতে তলিয়ে গেছে। ২০২২ সালের ভয়াবহ বন্যার পর যদি নদী খনন করা হতো তাহলে আমাদের মতো বাসিন্দাদের এই দুর্ভোগ পোহাতে হতো না।
রোববার বিকেলে সিলেট নগরীর বন্যা পরিস্থিতির উন্নতির বিষয়টি জানান পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ। তার বরাত দিয়ে পাওয়া তথ্যে দেখা যায়, বিকেল ৩টা পর্যন্ত সিলেট নগরী সংলগ্ন সুরমা নদীর পানি বিপদসীমা থেকে ১ সে.মি. নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। কিন্তু রাতের এই অতি বৃষ্টিতে নতুন করে বন্যার শঙ্কা উকি দিচ্ছে।
ভোরের আকাশ/ সু