logo
আপডেট : ৪ জুন, ২০২৪ ১৫:৫৬
মোদির ভূমিধস জয়ের আশা ম্লান, দিল্লিতে বিজেপির কার্যালয়ে নীরবতা
নিজস্ব প্রতিবেদক

মোদির ভূমিধস জয়ের আশা ম্লান, দিল্লিতে বিজেপির কার্যালয়ে নীরবতা

ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে অবস্থিত বিজেপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির নেতাকর্মীদের তুলনামূলক নীরব-নিস্তেজ দেখা যাচ্ছে। প্রাথমিক গণনায় নরেন্দ্র মোদির বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে এগিয়ে থাকলেও দলটি জয়ের ব্যাপারে যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল বাস্তব পরিস্থিতি তেমন আশাব্যাঞ্জক নয়।

 

বিজেপির মুখপাত্র সৈয়দ জাফর আলম দিল্লিতে বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, তিনি আশাবাদী বিজেপিই পরবর্তী সরকার গঠন করবে এবং চূড়ান্ত ফলাফল তাদের প্রত্যাশা অনুযায়ীই হবে। তিনি বলেন, ‌‌‘‘আমরা সম্ভবত ৪০০ আসনের কাছাকাছি পেতে পারি। আর এটাই আমাদের লক্ষ্য।’’

 

বিজেপির নির্বাচনী প্রচারণা স্পষ্টতই বিভাজনমূলক এবং নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীকে লক্ষ্যবস্তু করে করা চালানো হয়েছে। বিশেষত অনুপ্রবেশকারীদের সম্পর্কে মোদির মন্তব্য; যা ব্যাপকভাবে মুসলিমবিরোধী হিসাবে মনে করা হয় সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে সৈয়দ জাফর আলম বলেন, মন্তব্যটি ভারতীয় মুসলমানদের উদ্দেশ্য করে করা হয়নি, বরং অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীদের নিয়ে ওই মন্তব্য করা হয়েছিল।

 

রাজস্থান রাজ্যে নির্বাচনী প্রচারণায় দেওয়া বক্তৃতায় মোদি বলেছিলেন, ‘‘যখন তাদের (কংগ্রেস) সরকার ক্ষমতায় ছিল, তখন তারা বলেছিল, দেশের সম্পদের ওপর মুসলমানদের প্রথম অধিকার রয়েছে। এর মানে তারা সম্পদ সংগ্রহ করে কাকে দেবে? যাদের অনেক সন্তান আছে তাদের কাছে। অনুপ্রবেশকারীদের কাছে,’’ বলেন তিনি।

 

ভারতের প্রধানমন্ত্রীর ওই মন্তব্য নিয়ে দেশটির বিরোধী দলগুলো ব্যাপক সমালোচনা করেছিল। তবে সৈয়দ জাফর বলেছেন, নরেন্দ্র মোদির জনকল্যাণমূলক সব প্রকল্পের সবচেয়ে বেশি সুবিধাভোগীদের মধ্যে মুসলিমরাও আছেন।

 

দেশটির নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ভোট গণনায় বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট ২৮১টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। আর বুথ ফেরত জরিপের ফলাফলকে উড়িয়ে দিয়ে ২২৪ আসনে এগিয়ে আছে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইনডিয়া জোট।

 

তবে একক রাজনৈতিক দল হিসেবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা থেকে অনেক দূরে রয়েছে মোদির বিজেপি। দলটি এখন পর্যন্ত মাত্র ২৩৬টি আসনে জয় পেয়েছে। আর কংগ্রেস পেয়েছে ৯৯। ৫৪৩ আসনের লোকসভায় সরকার গঠনের জন্য কোনও দল বা জোটের ২৭২ আসনে জয় দরকার।

 

ভোরের আকাশ/মি