ঘুর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে খুলনার পাইকগাছার শিবসা নদীর চৌমুহনীর জিরবুনিয়ার ক্ষতিগ্রস্ত ওয়াপদার বাঁধ সেচ্ছাশ্রমে মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে। দুর্গম এলাকা হওয়ার কারণে এদিকে কেউই খোঁজ না নেয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
বুধবার সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার দেলুটি ইউনিয়নের চারিদিকে নদী দ্বারা বেষ্টিত। দ্বীপের মধ্যে এলাকাবাসীর বসবাস। প্রতি বছরের প্রাকৃতিক দুর্যোগে এ এলাকা অরক্ষিত হয়ে আসছে। ২৭ মে ঘুর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে লন্ডভন্ড হয়েছে এলাকাটি। এর মধ্যে যেসব এলাকায় যাতায়ত ও যোগাযোগ ভাল সে সব এলাকায় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও জনপ্রতিনিধিরা পরিদর্শন করেছেন। কিন্তু দুর্গম এলাকা শিবসা নদীর চৌমুহনীর ক্ষতিগ্রস্থ জিরবুনিয়ার ১০ দিনের মধ্যে কেহই খোঁজ নেননি। এ কারণে এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অবশেষে নিজেদের বেঁচে থাকার প্রয়োজনে বুধবার সকালে শত শত গ্রামবাসী ঐক্যবদ্ধ হয়ে সেচ্ছাশ্রমে বাঁধ মেরামতের কাজ শুরু করেছেন।
সেচ্ছাশ্রমে বাঁধ মেরামতে নেতৃত্বে থাকা জিরবুনিয়া বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি ভোল্টন মন্ডল বলেন, আমরা এ এলাকায় বেমাতা সন্তানের মত অবেলিত। দুর্গম এলাকা বিধায় আমাদের কেউ খোঁজ রাখে রাখেন না। আমাদের এলাকায় হাজার হাজার বিঘা চিংড়ী ঘের তলিয়ে কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। ধ্বংস হয়েছে অসংখ্য বাড়ী ঘর ও ফসলের। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অসংখ্য কাঁচা-পাকা রাস্তা।
স্থানীয় বাসিন্দা মিল্টন মন্ডল বলেন, সরকার যদি স্থায়ীভাবে আমাদের বাঁধের ব্যবস্থা না করে তা হলে আমাদের দ্বীপের মধ্যে ডুবে মরতে হবে।
ভোরের আকাশ/মি