ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, রাজধানীতে দুটি স্থায়ীসহ মোট ১৯টি কোরবানির পশুর হাটের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। নির্ধারিত জায়গার বাইরে আশপাশের এলাকা বা সড়কে কোনো পশু রাখলে সংশ্লিষ্ট ইজারাদার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রাজধানীতে অনুমতি ছাড়া কোরবানির পশুর হাট বসালে পশুসহ মালিককে ধরে নেওয়া হবে।
শুক্রবার (৭ জুন) রাজধানীর কোরবানির পশুর হাটে ডিএমপির গৃহীত নিরাপত্তা বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন হুঁশিয়ারি দেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঢাকার ভেতরে পশুর হাটে যারা (স্বেচ্ছাসেবীসহ হাট ইজারাদার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী) কাজ করবেন তাদের সমন্বয় থাকবে। পশুর হাটে অজ্ঞান পার্টি ও মলম পার্টির ব্যাপারে ডিবির টিম সজাগ থাকবে। হাট ও হাটের আশপাশে অজ্ঞান পার্টি ও মলম পার্টির ব্যক্তি দেখলেই সঙ্গে সঙ্গে আইনের আওতায় আনা হবে। পাশাপাশি জাল টাকার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। তারা তাদের জাল টাকা শনাক্তকরণ মেশিন পশুর হাটগুলোতে রাখবেন বলে জানিয়েছেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, যদি কেউ কোরবানির পশু এক হাটের অন্য হাটে নেওয়ার চেষ্টা করেন তাহলে পুলিশ এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। ব্যবসায়ীরা ঢাকার বাইরে থেকে যে গাড়িতে কোরবানির পশু আনবেন, তারা গাড়ির সামনে নির্দিষ্ট হাটের নাম লিখে ব্যানার টানাবেন।
হাবিবুর রহমান বলেন, কোরবানির পশুর হাটকে কেন্দ্র করে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বড় চ্যালেঞ্জ হয় ঢাকাবাসীর জন্য। পশুর হাটকে কেন্দ্র করে যেন যানজট সৃষ্টি না হয় সেদিকে সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে। ঘরমুখো মানুষ যারা যাতায়াত করবেন তারা যেন নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারেন।
এছাড়াও কোরবানির পশুর হাটে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের জন্য বিদ্যুৎ বিভাগকে অনুরোধ করা হয়েছে বলে জানান ডিএমপি কমিশনার।
ভোরের আকাশ/ সু