মরণোত্তর দেহদানকারী ও দেহদানের অঙ্গীকারকারী ব্যাক্তিদের সংবর্ধনা দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের এনাটমি বিভাগ। আজ সোমবার সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিল্টন হলে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে এনাটমি বিভাগের ডাক্তাররা 'আগুনের পরশমনি' সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নুরুল হক। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের এনাটমি বিভাগের অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান ডা. লায়লা আনজুমান বানু, হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা. সজল ব্যানার্জী। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন এনাটমি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. সুমি
বঙ্গবন্ধু মেডিকেলের ভাইস চ্যান্সেলর ডা. দীন মোহাম্মদ বলেন, আপনারা মরণোত্তর দেহদান করে যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন এটা বড় ত্যাগের এবং মহৎ কাজ। আপনারা মানুষের উপরে মানুষ সেটা প্রমাণ করেছেন আপনাদের দানের মাধ্যমে । এই মহৎ কাজের মাধ্যমে আপনাদের উত্তম চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ফুটে উঠেছে।
তিনি আরও বলেন, আপনাদের দেহ আমরা সম্মানের সাথে গ্রহণ করলাম। এটা আমরা এখানে গবেষণার কাজে ব্যবহার করবো।
এই সময় দেহদানকারী একুশে পদকপ্রাপ্ত স্বাধীন বাংলা বেতারের শব্দসৈনিক বীর মুক্তিযোদ্ধা ও দৈনিক ভোরের আকাশের সম্পাদক ড. মনোরঞ্জন ঘোষাল বলেন, ‘আমরা পৃথিবীর মধ্যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা জাতি। আমার সাথে যারা মরণোত্তর দেহদান করেছেন তারা অবশ্যই মহৎ মানুষ। এটা অসাধারণ মানবতার কাজ। আমার দেহ অপরের জন্য। আমার দেহের কোনো অংশের দিয়ে যদি কেউ বেঁচে থাকে তাহলে আমার বেঁচে থাকা।’
তিনি আরও বলেন, ‘পৃথিবীর কোনো অংশ মানুষের তৈরী নয় । তাই দেহ বা শরীরের অংশে আমাদের কোনো অধিকার নেই।’
বক্তারা বলেন, আমাদের দেহ যদি আরেক জনের দেহে প্রতিস্থাপন করে আরেকজন লোক বেঁচে যায় তাতেই আমাদের প্রশান্তি। অন্ধকার না আমরা আলোতে চলি। মানবতার জন্য এগিয়ে আসতে পারি। আমাদের দ্বারা কেউ উপকৃত হলে তাতে আমাদের বড় পাওয়া।
হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা. সজল ব্যানার্জী বলেন, আমি নিজেও মরণোত্তর দেহদান করেছি। আমার জন্য যদি কোনো প্রাণ বাঁচে তাহলেই স্বার্থকতা। এটা নি:সন্দেহে মহৎ কাজ। সৃষ্টিকর্তার কাছে এটা দায়বদ্ধতার একটা কাজ।
ভোরের আকাশ/ সু