logo
আপডেট : ১১ জুন, ২০২৪ ১৮:৫৯
রাজাপালং বনভূমির অসহায় ভূমিহীন ২৮ টি পরিবারকে উচ্ছেদের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
ইসমাইল হোসেন

রাজাপালং বনভূমির অসহায় ভূমিহীন ২৮ টি পরিবারকে উচ্ছেদের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা এই দেশে ১২ লক্ষ রোহিঙ্গা আশ্রয় দিয়েছে কিন্তু আমরা তো বাংলাদেশের স্থায়ী বাসিন্দা আমাদের কেন উচ্ছেদ করা হচ্ছে। আমরাও চাই শেখ রাসেলের নামে স্টেডিয়াম হোক কিন্তু আমাদেরকে যেন থাকার একটা ব্যবস্থা করে দেওয়া হয় নতুবা আমাদের যেন এখান থেকে উচ্ছেদ না করা হয়।

গতকাল মঙ্গলবার, ১১ জুন জাতীয় প্রেস ক্লাবের তৃতীয় তলা আঁকরাম খাঁ হোসেন হলে সকাল ১১ টায়, উখিয়া থানাধীন ৪ নং রাজাপালং ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের টি.এন্ড টি গুচ্ছ গ্রামের দক্ষিন পার্শ্বে পাহাড়ী বনভূমির ভূমিহীন অসহায় ২৮ টি পরিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন ।

এসময় তারা লিখিত বক্তব্যে বলেন,
শেখ রাসেল স্টেডিয়াম তৈরির জন্য অসহায় ভূমিহীন ২৮ টি পরিবারকে উচ্ছেদ না করার ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সাহায্য চাই, আমাদের কোন জমি জায়গা না থাকায় ভূমিহীন অসহায় ২৮ টি পরিবার উখিয়া থানাধীন ৪ নং রাজাপালং ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের টি.এন্ড টি গুচ্ছ গ্রামের দক্ষিন পার্শ্বে পাহাড়ী বনভূমি আবাদ ও খরিদ করে দীর্ঘ ২৯ বৎসর যাবৎ পরিবার পরিজন নিয়া গৃহ নির্মান করে বসবাস করছি। যার যার দখলীয় বসতভিটায় দেশীয় ফলজ আম, কাঠাল, সুপারী, নারিকেল ও বনজ গাছ রোপন করে এবং বাড়ীর আঙ্গিনায় পতিত জমিতে শাকসবজি আবাদ করি ও ২টি মুরগীর ফার্ম ও আছে এবং বর্নিত জমিতে গোয়ালঘর, ও গরু ছাগল, হাস, মুরগী লালন পালন করে জীবিকা নির্বাহ করছি।

উখিয়া ডিগ্রী কলেজের মাঠে আমাদের সাবেক বসতভিটা ছিল তৎকালীন সময়ের সংসদ সদস্য জনাব শাহজাহান চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও অধ্যক্ষ এম. ফজলুল করিম সহ আমাদেরকে বর্তমান বসত ভিটা দিলে আমি কলেজ স্থান ছেড়ে দেই। এবং বর্তমান বসতভিটায় ঘর নির্মাণ করে বসবাস করছি।

আমাদের একমাত্র বাসবাসের ভিটায় স্টেডিয়াম করার নামে যুব ও ক্রিড়া মন্ত্রনালয়ের একখানা সাইনবোর্ড দিয়ে গত ০১/১০/২০২৩ ইং তারিখ সকাল অনুমান ১১:০০ ঘটিকার সময় ৪০-৪৫ জন লোক এসে দেশিয় বিভিন্ন অস্ত্র সহ সন্ত্রাসী কায়দায় বসতভিটায় প্রবেশ করে ফলজ ও বনজ বিভিন্ন প্রজাতীর ৫০০ শতাধীক গাছ কেটে ক্ষতি সাধন করে এবং সবজি ক্ষেত সহ প্রায় দশ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন করে।

পরবর্তীতে ঘটনার বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার উখিয়াতে অবগত করালে, উপজেলা নির্বাহী আফসার ও সহকারী কামাশনার (ভূমি) উখিয়া স্বয় ঘটনাস্থলে গেলে বিবাদাগন দিক বেদিক ছুটাছুটি করিয়া ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। বর্তমানে আমরা অসহায়র্থে জীবন যাপন করিতেছি। আমাদের বর্তমান এই বসতভিটা ছাড়া

আমাদের বসবাসের আর কোন জমি জমা নাই,
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা এই দেশে ১২ লক্ষ রোহিঙ্গা আশ্রয় দিয়েছে কিন্তু আমরা তো বাংলাদেশের স্থায়ী বাসিন্দা আমাদের কেন উচ্ছেদ করা হচ্ছে। আমরাও চাই শেখ রাসেলের নামে স্টেডিয়াম হোক কিন্তু আমাদেরকে যেন থাকার একটা ব্যবস্থা করে দেওয়া হয় নতুবা আমাদের যেন এখান থেকে উচ্ছেদ না করা হয়। এ বিষয়ে আমরা যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় একটি অভিযোগও দিয়েছি, কোন লাভ হয়নি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া এদেশে কেউ কোন সিদ্ধান্ত দিতে পারে না, তাই প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যাতে আমাদের একটা ব্যবস্থা করে দেয়। বসতভিটা ছেড়ে না গেলে আমাদের মেরে ফেলার হুমকি দেয়। বর্তমানে আমরা জীবননাশের আশঙ্কায় আছি।

উপরিক্ত বিষয়ে উখিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরীর কাছে যানতে চাইলে তিনি মুঠো ফোনে ভোরের আকাশ কে জানান- রাজাপালং শেখ রাসেল স্টেডিয়াম তৈরির জন্য সরকারী জায়গায় অনেক আগে থেকেই প্রস্তাবিত, এটা বনভূমির সরকারী জায়গা সরকার নিয়ে গেলে আমার কিছু করার নেই, আর আমি এ বিষয়ে কোন কথা বলতে চাই না ।

উখিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভীর হোসেন ভোরের আকাশকে মুঠো ফোনে জানান- কক্সবাজার উখিয়া রাজাপালং শেখ রাসেল স্টেডিয়াম তৈরির জন্য সরকারী জায়গায় অনেক আগে থেকেই প্রস্তাবিত ছিলো। আমরা সরাকারী কর্মকর্তা সরকারী প্রোজেক্ট বাস্তবায়নে আমরা সরকারী আইন মেনে করে থাকি। উখিয়া থানাধীন ৪ নং রাজাপালং ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের টি.এন্ড টি গুচ্ছ গ্রামের দক্ষিন পার্শ্বে পাহাড়ী বনভূমিতে অনেক আগে থেকে কিছু পরিবার বসবাস করে আসছে। তাদের কে কিছু বলা হয়নি তাদের কে সরকারী নিয়ম মেনেই উচ্ছেদ করা হবে। অল্প কিছুদিন আগে কিছু কূ চক্র মহল সরকারী জায়গা দখল করার জন্য রাতারাতি ঘর তুলেন। তাদের কে বলা হয়েছে। সেখানে আমার এসিলেন্ট সরজমিনে পরিদর্শন করে এসেছে। দীর্ঘ দিন ধরে যারা বসবাস করা আসছে, তাদের যদি কোন সন্ত্রাস বাহীনী, বসতভিটায় প্রবেশ করে হামলা করে থাকে , থানায় অভিযোগ দিলে আমরা আইন আনুগ ব্যাবস্তা নিবো। সন্ত্রাসী হামলার বিষয়ে আমি অবগত নয়।